সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
সদ্য নাসা ফেরত সৌভিক বলেন, নাসা এত দিন আমার কাছে একটা স্বপ্ন ছিল। কিন্তু তা যে সত্যি হবে তা ভাবতে পারিনি। নাসা থেকে নানা রকম চ্যালেঞ্জ দেওয়া হয়। সেখানে সোলার ফিজিক্সের উপর নানা রকম গবেষণা হয়। যেখানে নানা রকম সমস্যা উঠে আসে। নাসা থেকে সেগুলি নিয়ে বাইরের বিজ্ঞানীদেরও কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়। নাসার একটি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সোলার ফিজিক্স সংক্রান্ত একটি প্রকল্পের কথা জানতে পারেন সৌভিক। এনিয়ে একটি প্রবন্ধ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল নাসা। সেই প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করার সুবাদেই ভারত থেকে ডাক পান তিনি। জুন মাসে ইন্টারভিউতে পাশ করার পর সুযোগ মেলে নাসা যাওয়ার। সেখানেই আট সপ্তাহ ধরে নাসার বিজ্ঞানীদের সঙ্গে একটি দলের হয়ে কাজ করেছেন তিনি।
স্যাটেলাইট থেকে ক্যামেরার মাধ্যমে মহাকাশ ও সূর্যের ছবি তোলা হয়। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই ক্যামেরার গুণমান নষ্ট হতে থাকে। মহাকাশে চলা সেই ক্যামেরা সারানো বা পরিবর্তন করার জন্য নতুন করে রকেট পাঠাতে হয়। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে রকেট না পাঠিয়ে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলেজেন্সি ব্যবহার করে সেই ক্যামেরা ঠিক করা যায়। এই কাজের জন্য ব্রাজিল, আমেরিকা ও ইতালি থেকে তিন গবেষক ও সৌভিক কাজ করেছেন। তাঁদের টিমের কাজে খুশি হয় নাসা। এমনই জানিয়েছেন সৌভিক। এই কাজ শেষ করার পর তিনি দেশে ফিরেই সটান হাজির হন ইউআইটিতে। ২০১৪ সালে ইউআইটির পড়াশোনা শেষ করার পর সৌভিক এমটেক করেন ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব অ্যাস্ট্রোফিজিক্স থেকে। বর্তমানে নরওয়ে অলসো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সোলার ফিজিক্স নিয়ে গবেষণা বা পিএইচডি করছেন তিনি। ইউআইটির প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অপূর্ব ঘোষ বলেন, আমাদের ছাত্রের এমন সাফল্য আমাদের কাছে গর্বের। আমরা চাই ওঁর এই সাফল্য থেকে অনুপ্রাণীত হোক নতুনরা।