সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
জলপাইগুড়ির পুলিস সুপার অভিষেক মোদি বলেন, গতকাল রাতে কলকাতা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার ইসলামপুর আদালত থেকে একদিনের ট্রানজিট রিমান্ডে তাকে জলপাইগুড়ি আনা হচ্ছে। জলপাইগুড়ি দমকল কেন্দ্র জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের কারণ খতিয়ে দেখছে তারা।
এবছরের জুলাই মাসে জলপাইগুড়ি শহরের একটি পানশালায় পুলিসি অভিযান ঘিরে সরগরম হয়ে ওঠে জলপাইগুড়ি। পানশালায় গানের আসরে অভিযান চালিয়ে ১৩ জন মহিলাকে উদ্ধার করে পুলিস। ওই ঘটনায় হোটেলের একাধিক কর্মচারীকে পুলিস গ্রেপ্তার করে। সেদিন থেকেই ধরম পাশোয়ানের খোঁজ পায়নি পুলিস। পুলিস ধরম পাশোয়ানকে গ্রেপ্তারের জন্য বিশেষ দলও তৈরি করে। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতায় কয়েকবার অভিযান চালানো হলেও প্রতিবারই অল্পের জন্য হাতছাড়া হয়ে যান তিনি। কলকাতায় ধরম পাশোয়ানের একাধিক ঘনিষ্ঠকে গ্রেপ্তার করার পরই পুলিস সাফল্য পায়। মঙ্গলবার রাতে ধরম পাশোয়ানের গ্রেপ্তারি পানশালাকাণ্ডে বড় সাফল্য পেল পুলিস। তবে ধরম পাশোয়ানের গ্রেপ্তারের পরের দিন সকালেই তাঁর জলপাইগুড়ি ২ নম্বর গুমটির বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ওই আগুন লাগে। খবর পেয়ে দমকল বাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে। দমকল বাহিনী জানিয়েছে, কর্মীরা দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনায় বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। বাড়ির কিছু জামাকাপড় পুড়ে গিয়েছে। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। তবে ধরম পাশোয়ানের গ্রেপ্তারের পরপরই তাঁর সিল করা বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তর্ঘাতের আশঙ্কা করছে অনেকেই। ধরমকে বাঁচাতে প্রমাণ লোপাটের জন্য বাড়িতে আগুন লাগানো হতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছে।
পুলিস সূত্রে জানা গেছে, বির্তকিত ওই পানশালায় নানারকম আপত্তিকর কাজকর্ম হতো। সেখান থেকে ধৃত পুষ্পা রাই নামে এক মহিলাকে মামলায় অভিযুক্ত করছে পুলিস। সেই মহিলার নেতৃত্বেই দেহব্যবসা করা হতো বলে পুলিসের দাবি। পুলিস জানিয়েছে, চাকরি দেওয়ার টোপ দিয়ে ভিন জেলা থেকে মেয়েদের নিয়ে আসা হতো হোটেলে। তারপর জোর করে অসামাজিক কাজকর্মে লিপ্ত করা হতো তাদের। পানশালার মালিকের দুই নম্বর গুমটির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সিসিটিভি ক্যামেরা, তার ফুটেজ, ল্যাপটপ, হার্ড ডিস্ক, দুটি সবুজ ডায়েরি, সহ আরও গুরুত্বপূর্ণ জিনিস মেলে। পুলিসের দাবি, সবুজ ডায়েরি দুটিতে বিভিন্ন মোবাইল নম্বর সহ আর্থিক লেনদেনের হিসেব সহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিল। সেই তথ্যর সাহায্য নিয়ে ধরমকে গ্রেপ্তারের ছক কষা হয়। পাশাপাশি ধৃতদের জেরা করে কলকাতায় ধরমের একাধিক ঠিকানা পায় পুলিস। সেই সব ঠিকানায় অভিযান চালিয়ে ধরম পাশোয়ানের ঘনিষ্ঠ একাধিক জনকে পুলিস গ্রেপ্তার করে। অবশেষে মঙ্গলবার রাতে ধরা পড়েন ধরম।