সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
শিক্ষামন্ত্রী রাজ্যের প্রতিটি জেলা শিক্ষা দপ্তরের কাছে নির্দেশ পাঠিয়েছেন যে, সরকারি স্কুলে কর্মরত শিক্ষকেরা প্রাইভেট টিউশনের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না। এ নিয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা গৃহশিক্ষক ওয়েলফেয়ার কমিটির অভিযোগ, রাজ্য শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কয়েকশো শিক্ষক প্রাইভেট টিউশনের সঙ্গে যুক্ত। অথচ জেলা শিক্ষা দপ্তর নীরব। জেলা প্রশাসন সরকারি স্কুলে চাকরিরত শিক্ষকদের টিউশন করানোর অভ্যাস বন্ধ না করতে পারলে বিকাশ ভবনে বিক্ষোভ কর্মসূচি গ্রহণ করার পথে হাঁটতে চলেছে গৃহশিক্ষক সংগঠন।
গৃহশিক্ষক সংগঠনের পক্ষে জানানো হয়েছে, জেলা স্কুল দপ্তরের কাছে প্রাইভেট টিউশনরত সরকারি শিক্ষকদের নাম ও স্কুলের নাম ধরে ধরে তালিকা তুলে দেওয়া হলেও কোনও তদন্ত হয়নি। তাঁরা এখনও ছাত্রছাত্রী পড়াচ্ছেন। এদিকে জেলা স্কুল দপ্তরের দাবি, রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশ স্কুলে স্কুলে পাঠানো হয়েছে। শিক্ষকরা যেন প্রাইভেট টিউশন না পড়ান তার জন্য আবেদন করা হয়েছে জেলার সমস্ত স্কুলে। তবুও সরকারি নিয়মনীতিকে তোয়াক্কা না করে শিক্ষকদের একাংশ একাজ করে চলেছেন।
জেলা গৃহশিক্ষক ওয়েলফেয়ার কমিটির সম্পাদক সবুজ সূত্রধর বলেন, আমরা, জেলার বেকার যুবকেরা ছাত্রছাত্রীদের প্রাইভেট টিউশন পড়িয়ে উপার্জন করি। কিন্তু জেলাজুড়ে কয়েকশো শিক্ষক সরকারি স্কুলের সঙ্গে যুক্ত হয়েও প্রাইভেট টিউশন পড়াচ্ছেন। এনিয়ে আমরা একাধিকবার সংগঠনের তরফে জেলাশাসক ও জেলা শিক্ষা দপ্তরের কাছে ব্লক ও পুরসভা ধরে ধরে শিক্ষকদের নামের তালিকা তুলে দিয়েছি। শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশের পরেও জেলা প্রশাসন ও জেলা শিক্ষা দপ্তর এখনও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। জেলাজুড়ে সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা প্রাইভেট টিউশন বন্ধ না করলে রাজ্য শিক্ষা দপ্তরে গিয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ দেখাব ।
জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) মৃণালকান্তি রায় সিংহ বলেন, রাজ্য শিক্ষাদপ্তরের নির্দেশ পাওয়ামাত্র আমরা জেলার প্রতিটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে তা পাঠিয়ে দিয়েছি। জেলার প্রতিটি স্কুলের শিক্ষকেরা লিখিতভাবে জানিয়েছেন যে তাঁরা প্রাইভেট টিউশনের সঙ্গে যুক্ত নন। জেলা গৃহশিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে আমাকে লিখিত তালিকা দেওয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী আমরা দপ্তর থেকে চিঠি করেছি। তারপরেও যদি এইভাবে গোপনে প্রাইভেট টিউশন পড়ান, তবে তো পুলিস নিয়ে যেতে হবে। এবারে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নিতে চলেছি। কোনো প্রমাণ পেলেই ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী।
গৃহশিক্ষকদের অভিযোগ, শুধুমাত্র স্কুলের পরীক্ষায় বেশি নম্বর পাওয়ার আশায় ছাত্রছাত্রীরা পড়ছে ওই শিক্ষকদের কাছে। এমন অভিযোগ নিয়ে জেলাশাসক ও শিক্ষা দপ্তরে গিয়েও কোনো লাভ হয়নি। টিউশনে যুক্ত শিক্ষকেরা গোপনে ছাত্রদের দিয়ে জেলাজুড়ে বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভও করিয়েছেন যাতে এই অভ্যাস বন্ধ না হয়।