সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
এই নতুন দায়িত্ব যে তাঁর কাছেও একটি বড় চ্যালেঞ্জ তা কার্যত মেনেই নিয়েছেন নতুন পরীক্ষা নিয়ামক। তিনি বলেন, মঙ্গলবার সবে কাজে যোগ দিয়েছি। পুরনো কিছু কথা শুনেছি। তবে আমার প্রথম দায়িত্ব নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষা গ্রহণ ও ফল প্রকাশ নিশ্চিত করা। প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের পরীক্ষার্থীদের যতটা সম্ভব সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করব। আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে পরীক্ষার্থীরা যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে না এসেই পুনর্মূল্যায়ণের আবেদন অনলাইনে জানাতে পারে। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একটি নির্দিষ্ট তারিখ ও সময় আমরা তাদের জানিয়ে দেব। শুধু ওইদিন এসে তারা নিজেদের সমস্যার সমাধান করে ফেলতে পারবে। তবে এসবের প্রস্তুতির জন্য অন্তত মাস খানেক সময় চাই।
স্থায়ী পরীক্ষা নিয়ামক মেলায় নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষা গ্রহণ ও ফল প্রকাশ সম্ভব হবে বলে উপাচার্য স্বাগত সেনও আশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, সার্বিকভাবে ত্রুটিহীন ও নির্দিষ্ট সময়ে ফল প্রকাশ আমাদের লক্ষ্য। তাহলে আমাদের স্নাতক স্তরের পরীক্ষার্থীরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়য়ের ছাত্রছাত্রীরাও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবে।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি যাত্রা শুরু করেছিল গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়য়ের শৈশব অবস্থায় চিন্ময় বসু পরীক্ষা নিয়ামকের দায়িত্ব সামলেছিলেন প্রায় এক বছর পাঁচ মাস। কিন্তু তাঁর পরে দীর্ঘদিন শূন্য ছিল এই গুরুত্বপূর্ণ পদটি। ২০১১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি প্রথম স্থায়ী পরীক্ষা নিয়ামক হিসাবে দায়িত্ব নেন সুদীপ্ত মুখোপাধ্যায়। কিন্তু মাস ছয়েক পরেই তিনি চলে যান ইস্তফা দিয়ে। তারপর থেকে প্রায় আট বছর ফের পদটি শূন্যই পড়েছিল। ২০ আগস্ট এই পদে যোগ দিয়েছেন বিশ্বরূপবাবু। এর আগে তিনি বর্ধমান ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের উপ পরীক্ষা নিয়ামকের দায়িত্বে ছিলেন।
প্রাক্তন অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ামক শ্যামাপদ মণ্ডলের আমলে স্নাতক স্তরের ফল প্রকাশিত হতেই তীব্র বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়। পরে ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনের জেরে সেই ফল নজিরবিহীন ভাবে প্রত্যাহারও করে নেওয়া হয়। পরে ছাত্র বিক্ষোভের ফলশ্রুতিতেই পুনর্মূল্যায়ণের জন্য প্রয়োজনীয় ফি মুকুবও করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এরও আগে আরেক অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ামক সনাতন দাসের আমলেও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ উঠেছিল পরীক্ষা নিয়ামক দপ্তরের বিরুদ্ধে। ছাত্রছাত্রীদের মালদহ কলেজের সাইকেল স্ট্যান্ড ও বারান্দায় বসে স্নাতক স্তরের পরীক্ষা দিতে দেখা যায়। বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। এছাড়াও অর্থ খরচ করে স্নাতক স্তরের পরীক্ষার সময় সিসিটিভি বসানো, আশ্চর্যজনকভাবে পরীক্ষার্থীদের নম্বর বেড়ে যাওয়া সহ বিভিন্ন অভিযোগও বারেবারে উঠেছে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়য়ের এই নির্দিষ্ট বিভাগের বিরুদ্ধে। এই রকম পরিস্থিতিতে স্থায়ী পরীক্ষা নিয়ামক হিসাবে বিশ্বরূপবাবু দায়িত্ব নেওয়ায় পরিস্থিতি কতটা বদলায় সেদিকেই আপাতত তাকিয়ে সংশ্লিষ্ট মহল।