সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, আমাদের জেলার কুশমণ্ডি দুর্গাপুরের বাসিন্দা নূর আলম পাঁচ বছর ধরে মালয়েশিয়ায় শ্রমিকের কাজে কর্মরত ছিলেন। তাঁর ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর সেদেশের পুলিস তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁর পরিবারের লোক আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। তাঁরা আমার কাছে এসে ছেলেকে দেশে ফেরানোর আর্জি জানিয়েছেন। আমাকে যেসব তথ্য তাঁরা দিয়েছেন তা যথেষ্ট নয়। তাঁরা নূর আলমের পাসপোর্ট বা ভিসার কোনও কাগজ আমাকে দিতে পারেননি। শুধুমাত্র আধার কার্ড ও ভোটার কার্ডের জেরক্স দিয়েছেন। আমি বিদেশমন্ত্রকে তথ্য সমূহ ইমেইল করব। বিদেশমন্ত্রীর তরফ থেকে মালয়েশিয়ার হাই কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিশ্চয়ই একটা উপায় বের হবে। ওই যুবককে মায়ের কাছে ফেরাতে আমি সব ধরনের চেষ্টা করব। যুবকের মা ফারিজা বিবি বলেন, আমার একমাত্র ছেলে পাঁচ বছর ধরে মালয়েশিয়ায় শ্রমিকের কাজ করছে। প্রতিদিন ফোনে আমাদের সঙ্গে সে কথা বলে। ২২ দিন আগে ছেলে আমাদেরকে জানিয়েছিল তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। সেখানে এক দালালকে টাকা দিয়েছে ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য। তারপর থেকে ছেলের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। মালয়েশিয়ায় কয়েকজন বাংলাদেশি যুবকের সঙ্গে নূরের বন্ধুত্ব হয়েছে। তারাই আমাদের জানিয়েছে নূরকে মালয়েশিয়া পুলিস গ্রেপ্তার করেছে। বন্ধুরা কিছু করতে পারছে না। নিরুপায় হয়ে আমি প্রতিবেশীদের কথামতো সাংসদের দ্বারস্থ হয়েছি। প্রতিবেশী ইয়াকুব আলি বলেন, সুকান্তবাবু আমাদের সব ধরনের সাহায্য করার জন্য আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি আমাদের সঙ্গে রয়েছেন বলে জানান। আমরা আমাদের গ্রামের ছেলেকে মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরিয়ে আনতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিদেশ মন্ত্রকে আমাদের সাংসদের মাধ্যমে আবেদন জানাব।
ছেলেকে ফিরে পেতে বাঁধভাঙা চোখের জলে সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের কাছে অনুরোধ জানান নূর আলমের মা ফারিজা বিবি। সাংসদ জেলার ছেলেকে দেশে ফেরানোর জন্য পরিবারের পাশে থেকে বিদেশ মন্ত্রীর কাছে আবেদন করতে চলেছেন। যুবকের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কুশমণ্ডি ব্লকের দুর্গাপুর এলাকার যুবক নূর আলম মা ফারিজা বিবি ও বাবা চাঁদ মহম্মদকে বাড়িতে রেখে পাঁচ বছর ধরে মালয়েশিয়াতে শ্রমিকের কাজ করছেন। সেখান থেকে নিয়মিত বাড়িতে টাকা পাঠান। এবং বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এতে মা বাবার কোনও সমস্যা হচ্ছিল না। কিন্তু হঠাৎ করে ২২ দিন থেকে ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় তাঁরা দিশাহীন হয়ে পড়েছেন। এখন নূর আলমের পরিবার বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদের উপর ভরসা করে ছেলের বাড়ি ফেরার জন্য দিন গুণছেন।