সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির রায়গঞ্জের ডিভিশনাল ম্যানেজার উৎপল দাস বলেন, ইটাহারে সোমবার রাতে আচমকাই শতাধিক লোক অফিসে ঢুকে ভাঙচুর চালিয়ে কর্মীদের ইট ছুঁড়ে জখম করেছে। কোথাও পরিষেবা নিয়ে সমস্যা হলে সেটা অভিযোগ জানানো যেতে পারে। সেইমতো পরিষেবা স্বাভাবিক করা হয়। কিন্তু কে বা কারা রবিবার রাতে তাণ্ডব চালিয়েছে। ওই ঘটনায় ইটাহার থানায় এফআইআর করা হয়েছে।
রবিবার রাত ৯টা নাগাদ ইটাহার অন্ধকারে ডুবে ছিল। সেসময় উত্তেজিতরা ইটাহার ইলেকট্রিক সাপ্লাই অফিসে ঢুকে যথেচ্ছ ভাঙচুর চালায়। উত্তেজিতরা সেখানে থাকা কর্মীদের লক্ষ্য করে ইট ছুঁড়তে থাকে। এতে দুই ঠিকা কর্মী জখম হয়েছেন। খবর পেয়ে ইটাহার থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছালে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইটাহারের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে কিছুদিন ধরে লোভোল্টেজ ও লোডশেডিং সমস্যা চলছে। গরমে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে বাসিন্দাদের একাংশের মধ্যে চাপা ক্ষোভ ছিল। ইটাহারের ঘুঘুডাঙা এলাকার বাসিন্দারা বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে এলাকা অন্ধকারে রয়েছে। স্বাভাবিক বিদ্যুৎ পরিষেবার জন্য কতদিন অপেক্ষা করতে হবে? স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার এলাকার একটি ট্রান্সফরমার দপ্তরের কর্মীরা এসে বদলে দিয়ে যায়। শনিবার সেটি ফের বিকল হওয়ায় বিস্তীর্ণ এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। এতে প্রচণ্ড গরমে বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়। সোমবার ফের দপ্তরের কর্মীরা গিয়ে বিকল ট্রান্সফরমারটি মেরামতি করে দিয়েছে। ইটাহার ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অমিত কুমার গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, কোনও এলাকা এই গরমে অন্ধকারে ডুবে থাকলে সেখানকার মানুষের ভোগান্তি মারাত্মক রকমের হয়। এটা বিদ্যুৎ কোম্পানির গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। পাশাপাশি কেউ সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করবে, সেটাও সঠিক কাজ হতে পারে না। ইটাহারে বিদ্যুৎ দপ্তরের অফিসে রবিবার রাতের হামলা ঘটনা প্রথম নয়। আগেও একাধিকবার দপ্তরের কর্মীরা এখানে আক্রান্ত হয়েছেন। এতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যে কর্মীরা দিনরাত পরিষেবা দিয়ে থাকেন তাঁরাও কাজ করার মানসিক জোর হারিয়ে ফেলছেন। রবিবার রাতে দুই ঠিকা কর্মী আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় বিষয়টি নিয়ে কর্মী মহলে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তাই কর্তৃপক্ষ হামলাকারীদের বিরদ্ধে যাতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয় তার জন্য পুলিসের দ্বারস্থ হয়েছেন।