সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
বৈঠক শেষে রাজ্য খাদ্য দপ্তরের ডিরেক্টর অজয় ভট্টচার্য বলেন, জেলার রেশন ব্যবস্থা কেমন রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে বৈঠক করেছি। যাতে ব্যবহারের যোগ্য সামগ্রী রেশন দোকানে দেওয়া হয় সেই বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য খাদ্য দপ্তর। এদিনের বৈঠকে রাইস মিলার, ডিস্ট্রিবিউটরদের পাশাপাশি জেলা খাদ্যদপ্তরের আধিকারিকদের নজর দিতে বলেছি যাতে গ্রাহকরা কোনওভাবে নিম্নমানের সামগ্রী না পান। জেলার রেশন ব্যবস্থা নিয়ে খাদ্যদপ্তরের তরফে নজরদারি রয়েছে। তার পরেও সবকিছু ঠিকঠাক না হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রবিবার বালুরঘাটে জেলা প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে বৈঠকে রাজ্য খাদ্যদপ্তরের ডিরেক্টর অজয় ভট্টচার্য ছাড়াও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা খাদ্যদপ্তরের আধিকারিক জয়ন্ত রায় সহ দপ্তরের অন্যান্য আধিকারিক, রাইস মিলার, ডিস্ট্রিবিউটর, রেশন ডিলার সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে এদিন ডিরেক্টর নির্দেশ দেন রাজ্য সরকারের সহায়ক মূল্যে জেলা খাদ্যদপ্তর যে ধান সংগ্রহ করেছে দ্রুত সেই ধান থেকে চাল করে রেশনের জন্য সরবরাহ করতে হবে। জেলা খাদ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরে এপর্যন্ত ৫৬ হাজার মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। তা থেকে ৩৬ হাজার মেট্রিক টন চাল উৎপাদিত হবে। দ্রুত রাইস মিলাররা সেই চাল ডিস্ট্রিবিউটরদের সরবরাহ করবে। এরপর ডিস্ট্রিবিউটরদের মাধ্যমে তা রেশন ডিলারদের কাছে পৌঁছবে। এদিন অজয়বাবু নিম্নমানের চাল সরবরাহ নিয়ে রাইস মিলারদের কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দেন। জেলায় একাধিক রেশন দোকানে নিম্নমানের চাল সরবরাহ করা হচ্ছে এমনটা অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। যাতে তা আগামীতে না হয় সেই দিকে নজর দিতে বলেন। এদিন তিনি রাইস মিলার ও খাদ্যদপ্তরের আধিকারিকদের বলেন, নিম্নমানের সামগ্রী দেবার অভিযোগ এলে কাউকে ছেড়ে কথা বলবেন না। রাইস মিলার খারাপ চাল দিলে তা দেখে নেবার দায়িত্ব ডিস্ট্রিবিউটরদের। তাঁরা কী মানের চাল দিচ্ছেন তা যদি তাঁরা না দেখেন তা রেশন ডিলাররা দেখে দেবেন। তারপরেও যদি নিম্নমানের সামগ্রী দেওয়ার অভিযোগ আসে তবে তিনি সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন। সরকারি কর্মীদেরও তিনি রেয়াত করবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দেন। অন্যদিকে, সারা মাসের রেশনের সামগ্রী যাতে এক দিনে গ্রাহকরা নিতে পারেন সেই বিষয়েও এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে পরিকাঠামোগত কিছু সমস্যা থাকায় এখনই এনিয়ে কোনও পদক্ষেপ করতে চাইছে না খাদ্যদপ্তর।