শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
এক ছেলে, এক মেয়ে, বাবা, মা, স্ত্রীকে নিয়ে দক্ষিণ বারাসতের এক চিলতে ঘরে তাঁর সংসার। জয়নগর-গোচরণ রুটে অটো চালিয়ে যা উপার্জন হয়, তাতেই ছ’জনের পেট চলে। অভাব-অনটন নিত্যসঙ্গী। কিন্তু, তারপরেও কর্তব্যে অবিচল অর্পণ। বললেন, করোনা পরিস্থিতিতে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া নিচ্ছে দ্বিগুণ। অটো চলাচল বন্ধ। কী করবে অসহায় মানুষ! এই সময়ে মানুষের পাশে যদি না দাঁড়াই, বড় পাপ হবে। যাঁর যখন প্রয়োজন হয়, আমাকে একটা ফোন করলেই হাজির হয়ে যাই অটো নিয়ে। বারুইপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে জয়নগরের পদ্মের হাট গ্রামীণ হাসপাতাল, ক্যানিং কোভিড হাসপাতাল, মগরাহাট হাসপাতাল, জয়নগরের মোমরেজগড় সেফ হোম—সব জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছে অর্পণের অটো। নিজের সংক্রামিত হওয়ার প্রশ্নে অর্পণ বলেন, ভয় থাকলে কাজ করব কী করে? মাস্ক, স্যানিটাইজার, হাতে গ্লাভস সব ব্যবহার করি। পিপিই কিটও রয়েছে। হাসপাতালে রোগীকে পৌঁছে দেওয়ার পর অটো জীবাণুমুক্ত করে নেওয়া হচ্ছে। তাঁর পরিষেবা যাতে মানুষ আরও বেশি করে পান, নিজের মোবাইল নম্বর ফেসবুকেও পোস্ট করেছেন অর্পণ। তাঁর কথায়, অনেক মানুষের আশীর্বাদ ও বন্ধুদের সাহায্য পাচ্ছি এই কাজে।