শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
পুলিস কমিশনার অজয় ঠাকুর বলেন, মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক অভিযান চলছে। একাধিক বড় মাদক কারবারি গ্রেপ্তার হয়েছে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দশ বছর আগে নদীয়া জেলা থেকে ছোট্ট মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে লছিপুর এলাকার চাবকা নিষিদ্ধপল্লিতে এসেছিল ময়না। দেহব্যবসায় নেমেও তেমন ফায়দা তুলতে পারেনি। কারণ অন্যের উপরে ভরসা করে ব্যবসা চালাতে হতো। তাই কিছুদিন পর এলাকার ডাকাবুকো দিলীপ সাহার ঘর ভাড়া নিয়ে শুরু করে স্বাধীনভাবে দেহব্যবসা। পরে দিলীপের ছেলে গোপালকে বিয়ে করলেও ব্যবসা চালিয়ে যেতে থাকে। নিষিদ্ধপল্লিতেই তার মাদক কারবারের হাতে খড়ি। তারপর হেরোইন কিনে পুরিয়া করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি শুরু করে। ধীরে ধীরে সেই কারবার চবকা ছাড়িয়ে লছিপুরের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।
একে মহিলা, তার উপর দেহ ব্যবসায়ী। তাই ময়নার কারবারও বাড়তে থাকে বিদ্যুৎ গতিতে। কৌশলে প্রতিদ্বন্দ্বীদের টেক্কা দিতে থাকে সে। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় মুর্শিদাবাদের লালগোলা থেকে প্রচুর পরিমাণে হেরোইন আনার ব্যবস্থা করে ময়না। সাপ্লাই লাইন ঠিক হতেই সে বিভিন্ন জায়গায় এজেন্ট রেখে ব্যবসা শুরু করে। নিয়ামতপুর, আসানসোলের গোপালপুর, মনোজ, কুলটি সর্বত্র সে এজেন্ট রাখে। মাদক কারবারের টাকায় বদলাতে থাকে তার চালচলন। শুরু হয় দামি গাড়িতে যাতায়াত। নিয়ামতপুর মোড়ের কাছে ইস্কো বাইপাসের ধারে বড় বাড়ি কেনে। বছর খানেক আগে চবকা থেকে চলে যায় সেই অট্টালিকায়। সেখান থেকেই নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে পুরো কারবার। মাস ছয়েক আগে এক্সইউভি গাড়ি কেনে। তবে তাল কাটে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেটের বিশেষ অভিযানে।
জানা গিয়েছে, পুলিস কমিশনারের নির্দেশে শিল্পাঞ্চলের মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান চালানো হচ্ছে। সেই সূত্রেই নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিস বাড়ি থেকে ময়নাকে গ্রেপ্তার করে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মাদকের নেশায় এলাকার যুব সমাজের ভবিষ্যৎ নষ্ট হচ্ছে। শুধু ময়নাকে ধরেই পুলিস যেন তদন্ত গুটিয়ে না নেয়, গোটা চক্রটাকে জালে তোলা দরকার। তাঁদের অভিযোগ, একসময় ময়নার দু’টি গাড়ি পুলিসে ভাড়া খাটত। তাই ময়নার বাড়বাড়ন্তের পিছনে কাদের হাত আছে সেটাও খুঁজে বের করা দরকার।