শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
কয়েকদিন আগে যশের ধাক্কায় রাজ্যের উপকূলবর্তী ও সুন্দরবন এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেদিনও ছিল ভরা কোটালের জোয়ার। রাজ্য সরকারও এই পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন। উপকূলবর্তী ও সুন্দরবন এলাকায় আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুর্যোগের আশঙ্কার পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রীদের সতর্ক থাকতে বলেছেন। নিজেদের এলাকায় গিয়ে মানুষের পাশে থাকার জন্য মন্ত্রী ও বিধায়কদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ২৬ জুন আরও বড় মাপের ভরা কোটালের জোয়ার আসার কথা। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না-যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। যাঁরা সমুদ্রে গিয়েছিলেন তাঁদের বৃহস্পতিবারের মধ্যেই ফিরতে বলা হয়েছিল। আবহাওয়াবিদরা অবশ্য আশা করছেন, যশের মতো মারাত্মক দুর্যোগ এবার হবে না। আলিপুর আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা জি সি দাস জানান, উপকূলবর্তী এলাকায় রবিবার পর্যন্ত ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে হাওয়া বইতে পারে। ভরা কোটালের জোয়ারে যতটা জলোচ্ছ্বাস হওয়ার সেটাই হবে। তবে বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতেরও সতর্কবার্তা রয়েছে। ২৬ মে ভরা কোটালের সঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব যুক্ত ছিল।
এবার শুধু নিম্নচাপ হবে। এটির গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা কম। কিছুটা শক্তি বাড়িয়ে তা সুস্পষ্ট নিম্নচাপ পর্যন্ত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে আজ এটি সৃষ্টি হবে। পরে ওড়িশার দিকে যাবে। তবে সেই সময় নিম্নচাপ থেকে দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী ও সংলগ্ন এলাকায় বেশি মাত্রায় বৃষ্টি হবে। নিম্নচাপের জেরে বাংলার বাকি অংশ ছাড়াও পূর্ব ভারতের বিস্তীর্ণ অংশে বর্ষা ঢুকে পড়বে। জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।