শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে কৃষক বন্ধু প্রকল্পে রাজ্যের কৃষকদের আর্থিক সহায়তা বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়েছে। ২০২১-’২২ অর্থবর্ষের বাজেট পেশের সময় এই প্রকল্পে এক একরের বেশি জমির জন্য বার্ষিক অনুদান ৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৬ হাজার টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। এক একরের কম জমির জন্য বার্ষিক ২ হাজার টাকার অঙ্ক বাড়িয়ে তিন হাজার করার কথাও বলেছিলেন। তারপর নির্বাচনী ইস্তাহারে তা বাড়িয়ে ১০ হাজার টাকায় নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেই মতোই দু’টি ক্ষেত্রেই টাকার পরিমাণ বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রিসভা। এখন থেকে এক একরের বেশি জমির মালিক বার্ষিক ১০ হাজার এবং তার কম পরিমাণ জমির মালিক বার্ষিক ৪ হাজার টাকা করে পাবেন। বিতর্কিত তিন কৃষি আইন নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড়ের মধ্যেই কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এ এক বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত।
রাজ্যে ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পে মোট উপভোক্তা প্রায় ৬২ লক্ষ। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, সেই সংখ্যাটিকে ৬৮ লক্ষে নিয়ে যেতে চান মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে শপথ নিয়েই বাংলার প্রায় ৭ লক্ষ কৃষককে প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধির টাকা পাইয়ে দিতেও উদ্যোগী হয়েছিলেন মমতা। তবে, তাঁর মন্ত্রিসভার এদিনের সিদ্ধান্তে সারা রাজ্যের কয়েক লক্ষ কৃষক পরিবার যে উপকৃত হবে, তা নিশ্চিত। কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে এদিন আরও একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে মমতার সরকার। সম্প্রতি, ঘূর্ণিঝড় যশ ও ভরা কোটালের কারণে দক্ষিণবঙ্গের তিন জেলায় বিপুল পরিমাণ চাষের জমি নোনাজলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেগুলি দ্রুত পুনরায় চাষের উপযোগী করে তুলতে ইতিমধ্যেই ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা ব্যয় করেছে কৃষিদপ্তর। উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জন্য এই টাকা ব্যবহার করা হচ্ছে। কৃষিদপ্তরের পক্ষ থেকে উপকূলবর্তী এই তিন জেলায় নোনাজল ঢুকে নষ্ট হওয়া চাষের জমিতে নোনা সুবর্ণ, নোনাশ্রী, ধীরেন, কলমা সহ মোট ছ’ধরনের ধান চাষে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।
গত বছর ঘূর্ণিঝড় উম-পুনের তাণ্ডবের পরও ক্ষতিগ্রস্ত জমিতে বিকল্প ধান চাষের বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো সচেষ্ট হয় কৃষিদপ্তরও। এবার যশ পরবর্তী সময়েও মুখ্যমন্ত্রী বিশেষ ধরনের ওই ধান চাষের বিষয়ে কৃষিদপ্তরের আধিকারিকদের নির্দেশ দেন। দপ্তর সূত্রে খবর, উপকূলবর্তী ওই তিন জেলাতেই বিশেষ ধরনের এই ধান চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করতে ও পুনরায় চাষযোগ্য জমি তৈরি করা অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে। কৃষি জমিতে নোনাজল ঢুকে পড়ে চাষের ক্ষতি হওয়ায়, ৯২০ একর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।