খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
এদিকে, ওই আমলার সঙ্গে সোমবার সকালে যেহেতু বেশ কিছুক্ষণ রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় মিটিং করেন, তাই তিনিও সস্ত্রীক হোম কোয়ারেন্টাইন বা গৃহ পর্যবেক্ষণে চলে গিয়েছেন। তাঁর স্ত্রী সোনালি বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। এছাড়াও স্বরাষ্ট্র দপ্তরের যেসব অফিসার বা কর্মীর সঙ্গে সেদিন ওই আমলা কথা বলেছেন, তাঁদেরও নবান্নে আসতে বারণ করা হয়েছে। জ্বর, সর্দি, কাশি হলে পরীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কলকাতায় ফেরার দু’দিন পরে ওই আমলা পুত্রকে চেক আপ করতে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় সমাজের প্রতিটি স্তরে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ ও সমালোচনার ঝড় বইছে। সকলের প্রশ্ন, এত দায়িত্বপূর্ণ পদে থেকে কী করে এমন কাজ করলেন ওই আমলা। ভবিষ্যতে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে অফিসাররাই মনে করছেন। বিভিন্ন সরকারি কর্মচারী সংগঠনের পক্ষ থেকেও ওই পদস্থ আমলার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।
এদিন বিকেলে নবান্নের সামনে রাজ্যসভার এমপি ল্যাডের টাকায় ১৭৩টি অ্যাম্বুলেন্স, ২০টি মেকানিক্যাল রোড সুইপার এবং ২০টি ওয়াটার স্প্রিঙ্কলারের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি সকলকে দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দিয়ে বলেন, কেউ কেউ গুজব রটাচ্ছেন। গুজব রটালে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা সতর্ক আছি। আইসোলেশন সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। যদি কারও সন্দেহ থাকে, ১৫ থেকে ২৭ দিন আইসোলেশন সেন্টারে থাকুন। যে যতই প্রভাবশালী হোন, রোগ নিয়ে ছেলেখেলা করবেন না। আতঙ্কের কিছু নেই, তবে কেউ কেউ দায়িত্বজ্ঞানহীন ও অবিবেচকের মতো কাজ করেছেন। পুলিস, অফিসার, জনপ্রতিনিধিদের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেই হয়। তাই সকলের কাছে হাত জোড় করে বলছি, স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নিন। সব সর্দি, কাশি করোনা নয়। এ রাজ্যের ৯৫ হাজার মানুষ বিদেশে আছেন। তাঁরা আসবেন, তাঁদের চেক আপ করা দরকার।
আমলা পুত্রের শরীরে করোনা ভাইরাস মেলার পর এদিন উদ্বেগ, উৎকণ্ঠায় বিদেশ ফেরত যাত্রীদের ভিড় বাড়তে থাকে আইডি হাসপাতালে। সন্ধ্যা পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, এদিন ন’জনকে ভর্তি করা হয়েছে আইডি’র আইসোলেশন ওয়ার্ডে। সব মিলিয়ে করোনা উপসর্গ নিয়ে ১৭ জন ভর্তি আছেন সেখানে। অন্যদিকে, যাঁদের নিয়ে রাজ্য প্রশাসন কেন, মানুষের মধ্যে চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা ছিল, আমলা পুত্রের সংস্পর্শে আসা সেই ছ’জনের মধ্যে চারজন—বাবা, মা এবং দুই গাড়িচালকের রিপোর্টই ‘নেগেটিভ’ এসেছে। দু’জনের রিপোর্ট আসার অপেক্ষায়। এই রিপোর্ট আসার পরে সরকারের শীর্ষমহলে কিছুটা স্বস্তি এসেছে। যদিও তাঁদের আপাতত রাজারহাটে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে।