শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
পাঁচ বছর আগে দেশের সর্বত্র যখন নরেন্দ্র মোদির হাওয়ায় কংগ্রেস সহ আঞ্চলিক দলগুলি বেসামাল, তখন একমাত্র বাংলা, যেখানে থমকে গিয়েছিল গেরুয়া রথ। মমতার নেতৃত্বে তৃণমূল একাই ৩৪টি লোকসভা আসন দখল করেছিল। যার সুবাদে কংগ্রেস ও তামিলনাড়ুর এআইএডিএমকে বাদ দিলে ৫৪৩ আসনের নিম্নকক্ষে বিরোধী শিবিরে তৃতীয় বৃহত্তম দল ছিল তৃণমূল। এবার সেই শক্তিবৃদ্ধির লক্ষ্যেই ৪২টি লোকসভা আসনই টাগের্ট করছেন মমতা।
ইতিমধ্যেই গত মাসের ব্রিগেড সমাবেশে দেশের তাবড় আঞ্চলিক দল সহ কংগ্রেসকেও এক মঞ্চে এনে বিজেপি নেতৃত্বের ঘুম কেড়ে নিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তৃণমূলের এক শীর্ষস্থানীয় নেতার ব্যাখ্যা, এই প্রথম দেশে বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। কেননা, মমতা ছাড়া আঞ্চলিক দলগুলির মধ্যে নিজের রাজ্যে নিরঙ্কুশ ক্ষমতার অধিকারী কেউ নন। কারও পক্ষেই এককভাবে বা জোট গড়েও মমতার টার্গেট ছোঁয়া শুধু কঠিন নয়, অবাস্তবও বটে। অভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে পারস্পরিক ঐক্য গড়ে তুলতে অগ্রণী ভূমিকা নেওয়া মমতা, নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবেন বলেই মনে করেন তৃণমূলের নেতারা। সেক্ষত্রে দলের হাতে থাকা সাংসদদের সংখ্যাই বড় নির্ণায়ক হয়ে উঠবে। তাই বিরোধীদের একটি আসনও না ছাড়ার লক্ষ্যেই আসন্ন নির্বাচনী লড়াইয়ে ঝাঁপানোর ডাক দেবেন নেত্রী, এ ব্যাপারে দলের নেতারা একশো শতাংশ নিশ্চিত।
যেহেতু এই নির্বাচনের সঙ্গে রাজ্যে ক্ষমতা বিন্যাস বদলের কোনও সম্পর্ক নেই, তাই বাংলার স্বার্থ রাজ্যবাসীর কাছে তুলে ধরাকেই প্রধান গুরুত্ব দিতে চায় তৃণমূল। দলের এক রাজ্যসভার সদস্যের মতে, মোদি-অমিত শাহদের বিভাজনের রাজনীতি, কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির রাজনীতিকরণ, সব মিলিয়ে এনডিএ সরকারের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষ সরব হচ্ছে। অন্যদিকে, বিরোধীদের সার্বিক ঐক্য প্রচেষ্টার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন মমতা। শুধু সংখ্যাধিক্যের জোরে নয়, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাপকাঠিতে দীর্ঘদিন অবহেলিত বাংলা তৃণমূলের আমলে গোটা দেশের কাছে মডেল হয়ে উঠছে। মমতার কন্যাশ্রী ইতিমধ্যেই ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেয়েছে। উৎকর্ষ বাংলা, সবুজ সাথীও বিশ্বমঞ্চে মর্যাদা পেতে চলেছে।
অন্যদিকে, রাজ্যে বাম ও কংগ্রেস অপ্রাসঙ্গিক হওয়ার পর বিরোধী পরিসরে ঠাঁই করে নিয়েছে বিজেপি। তাই শুধু লক্ষ্য বেঁধে দেওয়া নয়, এই অবস্থায় বাংলায় বিজেপির সঙ্গে এই সম্মুখ সমরে দলকে তৈরি রাখতে কোর কমিটির সভায় রণকৌশলও বাতলে দেবেন তৃণমূল নেত্রী, এমনটাও মনে করছেন দলের অভিজ্ঞ নেতারা।