শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে বাংলার কোন ১৮টি লোকসভা কেন্দ্র নিয়ে প্রাথমিকভাবে আলোচনা শুরু করেছে বিজেপি? দলীয় সূত্রের খবর, এই তালিকায় রয়েছে উত্তরবঙ্গের তিনটি আসন। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং মালদহের যে কোনও একটি আসন। অন্য ১৫টি লোকসভা কেন্দ্র হল কলকাতা দক্ষিণ, কলকাতা উত্তর, বারাকপুর, দমদম, বসিরহাট, ডায়মন্ডহারবার, যাদবপুর, হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান-দুর্গাপুর, বোলপুর এবং বীরভূম। বিজেপি সূত্রের খবর, নির্বাচনী কৌশল কী হবে, প্রার্থী হিসেবে কাদের দাঁড় করানো যেতে পারে এই সবকিছু নিয়েই প্রাথমিক আলোচনা চলবে। ক্যাটিগরি ভিত্তিক লোকসভা আসনের বিভাজন মূলত কীসের উপর নির্ভর করে তৈরি হচ্ছে? গেরুয়া শিবিরের অন্দরের খবর, এক্ষেত্রে প্রধানত চারটি শর্ত রাখা হচ্ছে। এক, আসনগুলির ভৌগোলিক অবস্থান। দুই, সংশ্লিষ্ট আসনে বিজেপির শক্তি। তিন, সংশ্লিষ্ট আসনে বিজেপির দুর্বলতা। এবং চার, সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম। এক্ষেত্রে দেখা হচ্ছে, নির্দিষ্ট ওই আসনে বিজেপির কোনও সর্বসম্মত প্রার্থী আছেন কি না। যদি তা না থাকে, তাহলে কাদের প্রার্থী হিসেবে বাছাই করা যায়, তার আলোচনা।
এ ব্যাপারে বিজেপির অন্যতম কেন্দ্রীয় সম্পাদক তথা পশ্চিমবঙ্গের জন্য নিযুক্ত দলের সহনেতা সুরেশ পূজারি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের প্রত্যেকটিতে আলাদা ইস্যু রয়েছে। ফলে একটির সঙ্গে অন্যটিকে মিশিয়ে ফেললে হবে না। আমরা নিজেদের মতো করে একটা সমীক্ষা চালাচ্ছি। সেইমতোই ক্যাটিগরিতে আসনগুলিকে ফেলা হবে।’ উল্লেখ্য, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ ইতিমধ্যেই বাংলার ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে অন্তত ২৩টিতে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছেন বঙ্গ নেতৃত্বকে। সেই ২৩টির মধ্যেই এই ১৮টি আসনকে প্রাথমিকভাবে বেছে নিয়েছে বিজেপি।