শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
কিছুদিন আগের কথা। প্রেসিডেন্সি জেল চত্বরে কারারক্ষীরা টহল দেওয়ার সময় লক্ষ্য করেন, জেলের পাঁচিলের ধারে পড়ে রয়েছে একটি প্যাকেট। তা খুলে দেখা যায় মোবাইল ফোন। বিষয়টি জেলের কর্তাদের কানে পৌঁছনো মাত্র তাঁরা এফআইআর করেন। তারও কিছু আগে খোদ আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারেরই এক চিকিৎসকের হেফাজত থেকে উদ্ধার হয়েছিল মোবাইল ফোন, নেশার সামগ্রী, নগদ টাকা, খাবার গরম করার হিটার সহ নানা জিনিসপত্র। কারা দপ্তরের এক কর্তার অভিযান সফল হওয়ার পরই ওই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিস গ্রেপ্তার করেছিল আরও কয়েকজন অভিযুক্তকে। মাদক আইন সহ বিভিন্ন ধারায় মামলাও দায়ের করা হয়। ওই ঘটনার পরই কারা দপ্তরের কড়া নির্দেশে ওই জেলের প্রবেশপথে প্রতিটি কর্মীকে তল্লাশি করার পর তবেই জেলের ভিতরে তাঁদের প্রবেশের অনুমতি মিলত। বর্তমানে ওই জেলের বন্দিদের সরানো হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে। এর আগেও ওই জেলেই মার্কিন তথ্যকেন্দ্রে জঙ্গিহানা এবং খাদিম কর্তা অপহরণ দু’টি মামলাতেই দণ্ডপ্রাপ্ত আন্তজার্তিক অপরাধী আফতাব আনসারির সেল থেকে স্যাটেলাইট ফোনে পাকিস্তানের করাচিতে কথা বলার তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল। তা নিয়ে প্রবল হইচই হওয়ার পর রাতারাতি ওই বন্দির সেলে ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, আমরা চাই জেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অটুট রাখতে। মাঝেমধ্যে দু’-একটি ছোটখাট ঘটনা ঘটছে। সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপও নেওয়া হচ্ছে।