বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
মলয় মুখোপাধ্যায়, কিরণ পাত্র, সৌরভসিঞ্চন মণ্ডল এবং অভিজিৎ রায় এই চার বাঙালি পর্বতারোহী ডিসেম্বর মাসে কলকাতা থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন।আর্জেন্তিনার ম্যান্ডোজা শহরে কয়েকদিন কাটিয়ে মাউন্ট অ্যাকানকাগুয়ার উদ্দেশে রওনা দেন তাঁরা। সৌরভবাবু জানিয়েছেন, গত ৩১ ডিসেম্বর তাঁরা বেসক্যাম্পে পৌঁছন। সেখানে দু’দিন কাটিয়ে উপরে ওঠা শুরু করেন চার বাঙালি অভিযাত্রী। সেখান থেকেই সমস্যার সূত্রপাত। চিলির কয়েকজন গাইডের সঙ্গে অভিযাত্রীদের যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছিল এজেন্সি। কিন্তু অভিযাত্রীদের সঙ্গে পেশাদারভাবে কাজ করার কোনও সদিচ্ছাই তাঁদের ছিল না। এই অবস্থায় বেস ক্যাম্পের পর উপরের ক্যাম্পগুলিতে প্রায় পাঁচদিন কাটাতে হয় অভিযাত্রীদের। সৌরভবাবুর দাবি, সেখানে প্রত্যেকদিন সকালে একটু করে চিজের সঙ্গে একটি পাউরুটি এবং দু’টি বিস্কুট তাঁদের খেতে দেওয়া হয়। তারপরে সারাদিন আর কিছু খাওয়ার দেওয়া হতো না। শেষে রাত আটটা নাগাদ এক বাটি স্যুপ দেওয়া হতো। খাওয়ারের কথা বললে গাইডদের পক্ষ থেকে বারবারই বলা হত, ‘জল খাও, জল খাও’। এই অবস্থায় অত উচ্চতায় খুব সমস্যায় পড়েন অভিযাত্রীরা। সৌরভবাবু জানিয়েছেন, বাকিরা কোনওক্রমে সুস্থ থাকলেও, তাঁর শরীর খারাপ হয়ে যায়। বারবার বমি হচ্ছিল। তার উপর প্রবল প্রাকৃতিক প্রতিকূলতায় পড়তে হয় তাঁদের। ফলে বেশ লড়াই করেই তাঁদের ফিরে আসতে হয়। তবে এখন তাঁরা সকলেই সুস্থ রয়েছেন। দু’দিন আগে বেসক্যাম্প থেকে প্রায় সারাদিন যাত্রা করে তাঁরা ম্যান্ডোজা শহরে ফিরে এসেছেন।
অভিযান চলাকালীন তাঁরা যখন ক্যাম্প-৩’-এ পৌঁছন, তখন থেকেই প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা বেড়ে গিয়েছিল। সৌরভবাবু জানিয়েছেন, ক্যাম্প-৩’র উপরে প্রবল হাওয়া চলছিল। সেই সঙ্গে প্রবল তুষারপাতও হচ্ছিল। তাই ২৬ ঘণ্টা অপেক্ষা করেও শেষ পর্যন্ত মাউন্ট অ্যাকানকাগুয়ার শৃঙ্গ না ছুঁয়েই ফিরে আসতে হয় তাঁদের। তবে ক্যাম্প-৩ থেকে শৃঙ্গ জয়ের লক্ষ্যে কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন মলয় মুখোপাধ্যায় এবং অভিজিৎ রায়। কিন্তু প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে বাকিরা ক্যাম্প-৩ ছাড়েনি। অভিযান থেকে ফিরে ফেসবুক পোষ্টে মলয়বাবু জানিয়েছেন, মাত্র ৪০০ মিটার দূর থেকে ফিরে আসতে হল। খুবই খারাপ লাগছে।