বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
প্রতি বছরই শীত উৎসবের মরশুমে চড়ে যায় মুরগির মাংসের দর। এবারও তার অন্যথা হয়নি। ১৯০ থেকে ২০০ টাকা কেজিতে ঘোরাঘুরি করেছে সেই দর। বাজারের আগুনে দর অবশ্য এখন কিছুটা কমেছে। মুরগির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা কেজিতে। কিন্তু ডিমের দাম মাসখানেকের উপর ছ’টাকা। তা নিয়ে মনঃকষ্টের শেষ নেই সাধারণ মানুষের। তাঁদের বক্তব্য, ভরা শীতে প্রতিবারই দাম খানিকটা কম থাকে আনাজপাতির। কিন্তু এবার অবস্থা বেশ শোচনীয়। কারণ, এখন বাজারে ১৫ টাকার নীচে যেমন ফুলকপি নেই, তেমনই ৩০ থেকে ৪০ টাকার নীচে নেই কোনও আনাজ। বেগুন, শিম, টম্যাটো, মটরশুঁটি, মুলো থেকে শুরু করে বিট, গাজর বা পালং শাক— এত দাম দিয়ে শীতের আনাজ শেষ কবে কিনেছেন সাধারণ মানুষ, তা অনেকেই মনে করতে পারছেন না। এই অবস্থায় যেখানে চড়া দামে কিছুটা মলমের প্রলেপ দিতে পারত ডিম, সেই সুযোগও গিয়েছে।
কেন চড়ল ডিমের দর? রাজ্য পোলট্রি ফেডারেশনের কর্তা এবং ন্যশনাল এগ কো-অর্ডিনেশন কমিটির এ রাজ্যের চেয়ারম্যান মদনমোহন মাইতি বলেন, ডিমের দাম ছ’টাকা হওয়া মোটেই অস্বাভাবিক নয়। কারণ ডিমের কারবারিদেরও জীবনযাপন করতে হবে। তাঁর অভিযোগ, এই সময় অন্যান্য বছর যেখানে প্রাণিখাদ্য হিসেবে ভুট্টার কিলো ১৩ টাকার আশপাশে থাকে, এখন তা ২০ টাকায় পৌঁছেছে। পোলট্রির খাবারের দাম এভাবে চড়লে ডিমের দাম বাড়তে বাধ্য, বলছেন মদনমোহনবাবু। তিনি বলেন, গোটা দেশেই টানাটানি চলছে পশুখাদ্যের। পরিস্থিতি এমনই ঘোরালো, কেন্দ্রীয় সরকার বিদেশ থেকে ভুট্টা আমদানির ছাড়পত্র দিয়েছে। কিন্তু সেই কাজেও মাস দু’য়েক সময় লেগে যাবে। কেন এতটা সমস্যা ভুট্টা নিয়ে? মদনমোহনবাবুদের বক্তব্য, অন্ধ্রপ্রদেশের ভুট্টা পোকার আক্রমণে এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার জের পড়েছে সারা দেশে। এমনকী এ রাজ্যে এবার ভুট্টার ফলন ভালো হলেও, অন্ধ্রপ্রদেশের ক্ষতি প্রভাব ফেলেছে এখানেও। পশুখাদ্যই যে এক্ষেত্রে খলনায়কের ভূমিকায়, তা জানিয়ে মদনমোহনবাবুরা দাবি করেছেন, এখানে ডিমের জোগান কম নেই। তাই কম ডিমের কারণে দাম বাড়ছে, এমন কোনও বিষয় নেই। প্রসঙ্গত, এ রাজ্যে দিনে আড়াই কোটি ডিম ব্যবহৃত হয়। পোলট্রি চাষিদের দাবি, এর মধ্যে ১.৭ কোটি ডিম উৎপাদন করা হয় রাজ্যেই। বাকিটা আসে দক্ষিণ ভারত থেকে।