খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
ওষুধ, মুদির দোকান, মাছ-সব্জির বাজার, অনলাইনে গৃহস্থালির সামগ্রী, রান্নার গ্যাসের দোকান সহ গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলি চালু রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরেও সোমবার দিনভর শহরের বিভিন্ন বাজারে চলল জিনিস কেনার হুটোপাটি। দক্ষিণের লেক মার্কেট থেকে উত্তরের উল্টোডাঙা বাজার, কোথাও বিকোচ্ছে মাস দুয়েকের কিলো কিলো চাল-ডাল, কোথাও আবার মুরগির দোকানে শতাধিক লাইন।
মানুষের এই হুজ্জতির সুযোগ নিয়ে অনেকেই অতিরিক্ত দাম হাঁকিয়েছেন বলে অভিযোগ। মানিকতলা বাজারে আসা এক গৃহবধূ অর্পিতা নাগের অভিযোগ, কাল থেকে দুধের জন্য বাজারে এসেও লাভ হয়নি। সরবরাহ নেই বলে বাড়ি পাঠাচ্ছে বিক্রেতা। কিন্তু দুধের গাড়ি আসতে দেখেছি। এরা ‘স্টক’ করছে, পরে হয়তো বেশি দামে বিক্রি করবে। দক্ষিণের কুঁদঘাট বাজারে এদিন পাঁঠার মাংস মিলেছে ৯০০ টাকা কিলো দরে, মুরগির মাংস প্রতি কিলো ২২০ টাকায়, অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। বেশিরভাগ বাজারেই চাল-ডাল-ময়দা-আটার দাম কেজি প্রতি দশ-কুড়ি টাকা বেশি দাম। শাকসব্জিও কোথাও পাঁচ থেকে দশ টাকা কিংবা কুড়ি-তিরিশ টাকা পর্যন্ত বাড়তি দামে অনেকেই বেচেছেন বলে অভিযোগ।
অন্যদিকে, বিধাননগরের বিভিন্ন বাজার সকাল থেকেই খোলার পরে কার্যত হুড়মুড়িয়ে পড়েছিল মানুষ। অতিরিক্ত দাম নেওয়ার অভিযোগ উঠতেই একযোগে মাঠে নামে বিধাননগর পুরসভা ও কমিশনারেট। বিভিন্ন বাজারে চলে অভিযান। বিক্রেতাদের সতর্ক করার পাশাপাশি বাসিন্দাদের অনুরোধ করা হয় অযথা আতঙ্কিত হবেন না। প্রয়োজনের অতিরিক্ত সামগ্রী মজুত না রাখার আবেদনও জানানো হয়।
পাটুলি বাজারে ভিড়। -নিজস্ব চিত্র