খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
সোমবার সকাল থেকে স্কুলগুলিতে এই আলু ও চাল দেওয়ার হিড়িক লেগে যায়। কিন্তু দেখা যায় বহু স্কুলেই অভিভাবকরা বাচ্চাদের সঙ্গে নিয়েই স্কুলে হাজির হয়েছেন। কিছু জায়গাতে বিনা মাস্কেই বাবা-মায়েরা এসেছিলেন। দক্ষিণ কলকাতার কয়েকটি স্কুলে এমন খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিতর্ক তৈরি হয়। তার মধ্যে যাদবপুর বিদ্যাপীঠ ও আরেকটি স্কুলে এই দৃশ্য দেখা যায়। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এটা চরম দায়িত্বজ্ঞানহীনতার কাজ। চরম সর্বনাশের পথে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যে স্কুলগুলিতে এমন হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দপ্তরের সচিবকে বলা হবে। দুপুরে এই কথা বলার পরই সন্ধ্যায় পদক্ষেপ করা হল।
কলকাতার আরেক দিকে অন্য রকম অভিযোগ উঠে এসেছে। যেমন ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কিছু স্কুলে বাচ্চাদের বাবা-মায়েদের হাতে এক কেজি করে চাল ও আলু দেওয়া হয়েছে। আবার কয়েকটি স্কুলে সব বাচ্চা এই সামগ্রী পায়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে। ট্যাংরা অঞ্চলেও বেশ কিছু স্কুলের বাচ্চাকে মিড ডে মিলের খাবার দেওয়া যায়নি বলে সূত্রে জানা গিয়েছে। কেন এমন হয়েছে? মজুতে টান পড়ায় এই অবস্থা বলে দাবি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের। আবার কিছু ক্ষেত্রে যে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তারা ঠিক মতো কাজ করতে পারেনি। এসব নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ শিক্ষামহল। পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নবকুমার কর্মকারের কথায়, গ্রীষ্মকাল কিংবা শীতকালের ছুটিতে মিড ডে মিল দেওয়া হয় না। তখন তো সমস্যা হয় না। এখন কেন এত আবশ্যিক হয়ে উঠল? পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কলকাতার জেলার উপদেষ্টা ভীমসেন বিসওয়ালের কথায়, শুধু শিক্ষকদের দোষ দেখলেই হবে না, প্রশাসনের তরফেও নানা গাফিলতি হয়েছে, সেগুলিকেও দেখা উচিত।