উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
২০০৯ সালে আইলার পর সুন্দরবন অঞ্চলের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। রুটিরুজির টানে এই অঞ্চলের বহু মানুষ পাথর খাদানে কাজে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁরা এই রোগে আক্রান্ত হন। ২০১২ সাল থেকে মৃত্যু মিছিল শুরু হয়। এই অঞ্চলে এখনও অনেকেই আক্রান্ত রয়েছেন। কেউ সম্পূর্ণভাবে আক্রান্ত। কেউ কেউ আংশিক অসুস্থ। ‘সিলিকোসিস আক্রান্ত সংগ্রামী শ্রমিক কমিটি’ জানিয়েছে, মিনাখাঁ ব্লকের ধুতুরদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত গোয়ালদহ, ধুতুরদহ ও দেবীতলা গ্রাম থেকে প্রায় ২০০ জন কাজে গিয়েছিলেন। তার মধ্যে ৯৫ শতাংশ মানুষ গোয়ালদহ গ্রামের বাসিন্দা। মিনাখাঁ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত জয়গ্রাম গ্রাম থেকেও ২৫-৩০ জন কাজে গিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ মার্চ এই গোয়ালদহ গ্রামেই সালাউদ্দিন মোল্লা নামে সিলিকোসিসে আক্রান্ত এক যুবকেরও মৃত্যু হয়েছিল। মাত্র তিন মাসের মাথায় এই গ্রামে ফের মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গোয়ালদহ গ্রামে এখনও সিলিকোসিসে আক্রান্ত ৫-৬ জন মুমূর্ষু মানুষ রয়েছেন। যাঁরা অক্সিজেন নিয়ে বেঁচে রয়েছেন। ওই গ্রামের আরও ২৫-৩০ জন আক্রান্ত মানুষ ওষুধ ও নেবুলাইজার নিয়ে বেঁচে রয়েছেন। এছাড়াও আংশিক আক্রান্তের সংখ্যা অনেক। এলাকার মানুষের অভিযোগ, এ নিয়ে প্রায় ২৮ জনের মৃত্যু হল। কিন্তু, সরকারিভাবে মৃত ন’টি পরিবার চার লক্ষ টাকা করে আর্থিক ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। বাকিরা এখনও পাননি। পরিবারের একমাত্র রোজগারে মানুষকে হারিয়ে ওই পরিবারগুলি এখন চরম আর্থিক সঙ্কটে দিন কাটাচ্ছেন।
মিনাখাঁর বিডিও শেখ কামরুল ইসলাম বলেন, তিন মাস আগে গোয়ালদহ গ্রামের যিনি মারা গিয়েছিলেন, তাঁকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য সমস্ত মেডিক্যাল নথি ও কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট জায়গায় পাঠানো হয়েছে। খুবই শীঘ্রই তাঁর পরিবার ক্ষতিপূরণ পেয়ে যাবেন। এদিন যাঁর মৃত্যু হয়েছে তাঁর পরিবারকেও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য আমরা দ্রুততার সঙ্গে সমস্ত কাগজপত্র জোগাড় করে সংশ্লিষ্ট জায়গায় পাঠানোর ব্যবস্থা করব। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও মেডিক্যাল নথি ঠিক থাকলে ক্ষতিপূরণ পেতে সমস্যা হয় না।