উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
মন্দিরবাজারের কেঁচারকুড় অঞ্চলের সদাশিবপুর মৌজায় ১২ বিঘা জমি সরকারিভাবে বরাদ্দ হয়েছিল প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্মাণের জন্য। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মিত হলে উপকৃত হবে মন্দিরবাজার ব্লকের কেঁচারকুড়, নিশাপুর, দক্ষিণ বিষ্ণুপুর, জগদীশপুর, চাঁদপুর-চৈতন্যপুর অঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ। মন্দিরবাজার ব্লকে কৃষ্ণপুর পঞ্চায়েতের অধীনে রয়েছে নাইয়ারাট গ্রামীণ হাসপাতাল। ব্লকে মাত্র এই একটি মাত্র হাসপাতাল থাকায় প্রতিনিয়ত রোগীর চাপ বাড়ে এখানে। মন্দিরবাজার থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে এই গ্রামীণ হাসপাতালে যাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিবহণ ব্যবস্থা নেই। গ্রামের লোকজনকে টোটো, অটো রিজার্ভ করেই হাসপাতালে যেতে হয়। দুপুরের পর আবার মন্দিরবাজার থেকে হাসপাতালে যাওয়ার কোনও গাড়ি পাওয়া যায় না। বাধ্য হয়েই গ্রামের মানুষজনকে দূরে ডায়মন্ডহারবার জেলা হাসপাতালে, নয়তো মোটা টাকা খরচ করে লক্ষ্মীকান্তপুরের নার্সিং হোমে ছুটতে হয়। সদাশিবপুর মৌজায় প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র তৈরি হলে মানুষকে আর সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে না বলেই মনে করেন এলাকার লোকজন। এক সরকারি আধিকারিক বলেন, ২০১৩-১৪ সালে মন্দিরবাজার ব্লক ভূমি সংস্কার বিভাগ থেকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্মাণের জন্য সদাশিবপুরে সরকারি ১২ বিঘা জমি দেওয়া হয়েছিল। তৎকালীন জেলাশাসক থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন ওই জমি পরিদর্শনও করেছিলেন। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিকল্পনা করে স্বাস্থ্য বিভাগে পাঠানো হয়েছে। তবু কাজ এগয়নি। কেন কাজ হচ্ছে না, তা স্বাস্থ্য বিভাগের উপরতলার আধিকারিকরাই বলতে পারবেন। গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, ১২ বিঘা জমি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলায় পড়ে আছে। প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্মাণ হলে কয়েক হাজার মানুষ উপকৃত হবেন। প্রসূতি মায়েদের নাইয়ারাট গ্রামীণ হাসপাতাল ও ডায়মন্ডহারবার জেলা হাসপাতালে যেতে কালঘাম ছোটে। তাঁদের অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়ে। মন্দিরবাজারের বাসিন্দা কনক হালদার ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, স্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্মাণের ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই। অবিলম্বে এই প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্মাণের ব্যাপারে স্বাস্থ্য বিভাগকে নজর দিতে হবে। মন্দিরবাজারের বিধায়ক জয়দেব হালদার এই প্রসঙ্গে বলেন, অনেকদিন আগেই স্বাস্থ্য বিভাগে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। কাজ শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ দেবাশিস রায় বলেন, খুব তাড়াতাড়ি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ার কথা চলছে। পরিকাঠমোগত কিছু সমস্যার জন্য আটকে ছিল।