বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
এ ব্যাপারে নদীয়া জেলার চাকদহ ব্লকের ঘেঁটুগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের চাষি নীতিন সাহা জানিয়েছেন, তরল জৈব সার তৈরিতে তাঁদের লাগছে ৫০ লিটারের মাটির পাত্র। ওই পাত্রে ৪৬ লিটার জল দিতে হবে। জল ভরার আগে পাত্রটিকে মাটিতে গর্ত করে ভালোভাবে বসাতে হবে। এর পর ওই পাত্রে এক কেজি নিমপাতা, ঘেঁটুপাতা, নিশিন্দা পাতা ও বাসক পাতা দিতে হবে। এইসব পাতা গ্রাম ঘুরে জোগাড় করেন তাঁরা। এর পর ওই পাত্রে দুই কেজি কাঁচা গোবর যোগ করতে হবে। ৪ লিটার গোমূত্র দিতে হবে। ২০০ গ্রাম টই দই দিতে পারলে ভালো। ২০০ গ্রাম বেসন, ২০০ গ্রাম চিটে গুড়, ২০০ গ্রাম চাষ জমির মাটি মেশাতে হবে দ্রবণে। এর পর পাত্রটিকে ঢেকে দিতে হবে।
ঢাকনা খুলে প্রতিদিন দ্রবণটিকে নাড়াতে হবে। এভাবে ৩৫ দিন রাখতে হবে। প্রথম কয়েকদিন দ্রবণটি থেকে গন্ধ বের হলেও ধীরে ধীরে গন্ধ চলে যাবে। এভাবে ৫০ লিটার তরল জৈবসার তৈরি হয়ে যাবে। ওই সার এক বিঘা জমিতে প্রয়োগ করা যাবে চাপান সার হিসেবে।
এদিকে, রানাঘাট ২ নম্বর ব্লকের আড়ংঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার চাষি অনিল কৃষ্ণ মণ্ডল জানিয়েছেন, তিনি তাঁরা ৫ বিঘা জমিতে এ বছর প্রথম বোরো ধান চাষে চাপান হিসেবে তাঁর ঘরে তৈরি তরল জৈব সার ব্যবহার করেছেন। গত বছর দু’বার চাপান সার হিসেবে নাইট্রোজেন সার ব্যবহার করেছিলেন। এ বছর বাড়িতে তৈরি তরল জৈবসার প্রয়োগ করে ভালোই ফলন পেয়েছেন। ফলে তাঁরা খুশি।