বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
রবি শাস্ত্রী এরকমই। তিনি কারও তোয়াক্কা করেন না। গত বছরের শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের ব্যর্থতার পর সমালোচনার ধার ধারেননি। ইংল্যান্ড সফরে কোহলি ব্রিগেডকে সার্টিফিকেট দিয়ে তিনি বলেছিলেন, বিদেশ সফরকারী সেরা ভারতীয় দল এটা। যা নিয়ে পরে প্রাক্তন অধিনায়ক সুনীল গাভাসকর তোপ দেগেছিলেন শাস্ত্রীকে।
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জেতার পর ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলির সঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলনে এসেছিলেন কোচ রবি শাস্ত্রীও। সেখানে তিনি বলেন, আমি বলে বোঝাতে পারব না এই সিরিজ জয়ে আমি কতটা খুশি। তিরাশির বিশ্বকাপ ধরুন বা তার দু’বছর পর ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব ক্রিকেট টুর্নামেন্ট জেতার সমতূল্য বা তার চেয়েও বেশি কৃতিত্বের। টেস্ট হল ক্রিকেটের আসল ফরম্যাট। আর অস্ট্রেলিয়া বরাবরই কঠিন সফর। এই সাফল্য পেতে আমাদের বছরে পর বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। অতীতটা ইতিহাস। বর্তমানকে আঁকড়ে বেঁচে থাকতে চাই। ৭১ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জেতার জন্য আমি ক্যাপ্টেনকে স্যালুট জানাই।’
বিরাট কোহলির প্রশংসা করে শাস্ত্রী আরও বলেন, ‘ওর মতো প্যাসন নিয়ে বিশ্বের আর কোনও অধিনায়ককে টেস্ট খেলতে দেখিনি। মাঠে নেমে আগ্রাসন দেখানোর ক্ষেত্রে ওর ধারে কাছে নেই বিশ্বের আর কোনও অধিনায়ক। ওর খুবই আবেগপ্রবণ। সেই কারণেই ও বাকিদের থাকা আলাদা। কোহলি মাঠে থাকলে কখনই ওর উপর থেকে চোখ সরিয়ে নেওয়া যায় না।’
সাফল্যের দিনে অতীতের ব্যর্থতাকে ঢাকার মরিয়া চেষ্টা করেছেন ভারতীয় দলের কোচ রবি শাস্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয়ের প্রস্তুতি আমরা গত বছর দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকেই শুরু করে দিয়েছিলাম। তখন বলেছিলাম, আগামী দিনে এই দলটা অন্য ঘরানার ক্রিকেট খেলব। দল নিয়ে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের ব্যর্থতা থেকে আমরা শিক্ষা নিয়েছি। ইংল্যান্ডেও আমরা খুব বিশ্রীভাবে হেরেছিলাম। তবে প্রতিটি পদক্ষেপে আমরা ভুল শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। অস্ট্রেলিয়ায় আমরা কিন্তু অতীতের ভুলের পুনরাবৃত্তি ঘটতে দিইনি। আর সেটাই এই সিরিজ জয়ে সবচেয়ে বেশি তৃপ্তি দিয়েছে।’