বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
স্টিভনের আরেক প্রাক্তন ছাত্র সৈয়দ রহিম নবি এখন তৃণমূল কংগ্রেস পার্টির কর্মসূচি নিয়ে ব্যস্ত। তার মধ্যেও রবিবার আবুধাবিতে এশিয়ান কাপে ভারত-থাইল্যান্ড ম্যাচ দেখেছেন। ভারতের দুরন্ত জয়ে উচ্ছ্বসিত পাণ্ডুয়ার এই ফুটবলার। ভারতীয় ফুটবলের সর্বকালের অন্যতম সেরা প্রাক্তন দুই ইউটিলিটি ফুটবলার বলছিলেন, ‘সুনীলের নেতৃত্বে দলটার শারীরিক ভাষাই পাল্টে গিয়েছে। এই ভারতীয় ফুটবলাররা এখন আর হারার জন্য মাঠে নামে না। বিপক্ষের চোখে চোখ রেখে খেলে।’
২০০৪ সালে ভারতের অধিনায়ক দেবজিৎ ঘোষ বলছিলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানের ফিটনেস রয়েছে স্টিভনের দলের। এটাই দলটাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আমি তো পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি, সুনীলদের যা বডি ল্যাঙ্গোয়েজ তাতে ভারত দ্বিতীয় রাউন্ডে যাবেই। মনে রাখবেন, এটা এশিয়ান কাপ। এর গুরুত্বই আলাদা। যতই ভারতের দুই প্রতিপক্ষ ইউএই ও বাহরিন হোক। আর এর গুরুত্ব ভালোভাবেই জানে আনাসরা। আর একটা দলে ভালো লিডার থাকলে সেই দল সাফল্যের পথে এগিয়ে যায়। সুনীল এই দলে আদর্শ লিডার। তার উপর বেশ কিছু জুনিয়র ছেলে এই দলটার সম্পদ।’ রহিম নবি আবার কিছুটা সতর্ক। তাঁর কথায়, ‘ভারতীয় দল বড় জয় পেয়েছে। তবে এতেই থেমে থাকলে চলবে না। আত্মতুষ্টি এলে বিপদ। তবে স্টিভনের কোচিংয়ে আমিও বছর তিনেক খেলেছি। সুনীলও জাতীয় দলে আমার থেকে জুনিয়র। আশা করি,দু’জনেরই পেশাদারিত্বের মোড়কে দলের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করবে। কারণ ভারতকে পরের দুটি ম্যাচে ইউএই ও বাহরিনের বিরুদ্ধে শক্ত চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হবে।’
ভারতীয় দলের কোচিংয়ে স্টিভন কনস্টানটাইনের প্রথম ইনিংস দেখেছেন দেবজিৎ ও নবি। দু’জনেই বলছেন, ‘স্টিভন আগের থেকে অনেক পরিণত। দারুণ ইতিবাচক।’ নবির কথায়, ‘আমাদের সময়ে স্টিভনের দল পরিচালনার কিছু ক্ষেত্রে গতানুগতিকতা ছিল। এখন সেটা ভেঙে বেরিয়ে এসেছে। অনেক স্মার্ট ডিসিশন নিচ্ছে। ম্যাচ রিডিং করে ফুটবল পরিবর্তনে মুন্সিয়ানা দেখাচ্ছে।’
সুনীলকে যত দেখছেন তত মুগ্ধ হচ্ছেন নবি। তিনি বলেন, ‘আমাদের সময়ে আমি, মেহতাব, পরে আসা সুনীল ম্যাচে খুব কথা বলে দলকে পরিচালনা করতাম। সুনীল সেই অভ্যাস দারুণভাবে ধরে রেখেছে। ও এমনিতেই খুব ভালো বক্তা।’
দেবজিতের কাছে তাঁর পুরানো কোচকে নতুন কিছু মনে হয়নি। তিনি বললেন, ‘স্টিভন আগের মতোই পজিটিভ রয়েছে। কেউ ভাবতে পেরেছিলেন, ২৬ বছর পর আমরা এল জি কাপ জিততে পারব? বা এশিয়া কাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে যাব? কোচ হিসেবে স্টিভন সবসময় জুনিয়রদের সুযোগ দিতে ভালোবাসেন। জেজে, বলবন্তদের বাদ দিয়ে হঠাৎ করে আশিক কুরিয়েন, অনিরুদ্ধ থাপাদের খেলিয়ে দিলেন! আশিক ও অনিরুদ্ধ তো সফল হয়েছে। সুনীলের বদলে গুরপ্রীত সিং সান্ধুকে অধিনায়কের আর্মব্যান্ড তো পরিয়ে দিয়েছেন! এই সব সিদ্ধান্ত নিতে বুকের কলিজা লাগে। তারজন্য ২৪ ঘন্টা দলের সঙ্গে থাকতে হয়। কোচের কাজটা তো আর পার্ট টাইম জব নয়। এটা মনে রাখতে হবে।’
স্টিভনের খুব প্রিয় ফুটবলার বলে দেবজিতের সঙ্গে প্রায়ই ফোনে কথা হয় ব্রিটিশ কোচের। দেবজিৎ বলছিলেন, ‘ব্যবসা ও চাকরি নিয়ে আমি দারুণ ব্যস্ত। ফলে স্টিভন চাইলেও সাপোর্টিং স্টাফ হিসেবে সময় দিতে পারব না। সহকারী হিসেবে ভেঙ্কটেশ খুবই ভালো কাজ করছে। আগেই বলেছি না কোচের কাজটা ফুল টাইম জব।’