বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
২০১৭-১৮ মরশুমে ইস্ট বেঙ্গলের দায়িত্বে ছিলেন খালিদ জামিল। সেবার কলকাতা লিগ জিতলেও ১৮ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট পেয়ে আই লিগে চতুর্থ হয়েছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। সেই পর্বে খালিদের সংস্কারপ্রবণতা ও সন্দেহবাতিক মনোভাব নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল ইস্ট বেঙ্গলের অন্দরে। মরশুমের শেষ পর্বে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর সুভাষ ভৌমিকের সঙ্গে এই মুম্বইকরের বাদানুবাদও ছিল সংবাদমাধ্যমে বহুচর্চিত বিষয়। ফুটবলারদের মধ্যে বিশেষ একটি গ্রুপ তৈরি করে তাঁদের উপরেই নির্ভর করেন খালিদ। তবে এটাও ঠিক, কোচ হিসেবে পরিশ্রম করতে ভয় পান না তিনি। দেখা যাক, চলতি মরশুমে আই লিগে মোহন বাগানকে কোন জায়গায় পৌঁছে দিতে পারেন খালিদ।
বড় ম্যাচের আগে ফুটবলারদের পরখ করে নেওয়ার জন্য মাত্র দু’টি ম্যাচ পাচ্ছেন তিনি। ইস্ট বেঙ্গল ছাড়ার পর তিনি কার্যত বেকার ছিলেন। কলকাতা লিগ চলাকালীন বিনা পারিশ্রমিকে মহমেডান স্পোর্টিংয়ের দায়িত্ব নিতে চেয়েছিলেন প্রাক্তন ভারতীয় মিডিওটি। বোঝাই যাচ্ছে, ভারতীয় ফুটবলের প্রাণকেন্দ্র কলকাতায় ফেরার জন্য কতটা উদগ্রীব ছিলেন খালিদ। তাই মোহন বাগানের প্রস্তাব পাওয়ার পর দু’বার ভাবেননি তিনি। উল্লেখ্য, সোমবারই কলকাতায় এসে পৌঁছেছেন খালিদ। মোহন বাগানের সহ-সচিবের সঙ্গে তাঁর একপ্রস্ত আলোচনাও হয়েছে। হাঙ্গারফোর্ড স্ট্রিটে সচিবের অফিসে আলোচনার পর কথাবার্তা চূড়ান্ত হয়। আইজল এফসি’কে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন করানো খালিদ জামিল গত মরশুমে ইস্ট বেঙ্গলের চাপ নিতে পারেননি। বরং তাঁকে নিয়ে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল ক্লাবে। কিন্তু মরশুমের মাঝপথে চেনা বিদেশি কোচকে নিয়ে আসার মতো অর্থ এই মুহূর্তে মোহন বাগানের কাছে নেই। তাই তুকতাকে বিশ্বাসী খালিদই এখন ভরসা সবুজ-মেরুনের।