উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
উল্লেখ্য, গত ৮ জুন বিকালের পর তৃণমূল-বিজেপি গণ্ডগোলের ঘটনায় রক্তাক্ত হয়ে উঠেছিল ভাঙ্গিপাড়া গ্রাম। ওইদিন ভাঙ্গিপাড়ায় তিনজন খুন হন। তার মধ্যে প্রদীপ মণ্ডল ও সুকান্ত মণ্ডল নামে ভাঙ্গিপাড়া গ্রামের দু’জন বিজেপি কর্মী এবং কায়ুম মোল্লা নামে পাশের রাজবাড়ি গ্রামের একজন তৃণমূল কর্মী।
ঘটনার পরদিনই অর্থাৎ ৯ জুন ন্যাজাট থানায় দু’টি খুনের মামলা হয়। প্রদীপবাবু ও সুকান্ত মণ্ডলের পরিবারের তরফে একটি খুনের মামলা রুজু হয়। কায়ুমের পরিবারের তরফেও একটি খুনের অভিযোগ দায়ের হয়। নিখোঁজ দেবদাস মণ্ডলের বাবা একটি নিখোঁজে ডায়েরি করেন। এক পুলিস অফিসার বলেন, প্রদীপ ও সুকান্ত মণ্ডলের খুনের অভিযোগে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাজাহান, হাটগাছির তৃণমূল নেতা কাদের আলি মোল্লা সহ ২৫ জনের নামে এফআইআর হয়েছিল। ওই এফআইআরে ধৃত আখের আলি গায়েনেরও নাম ছিল। ঘটনার তদন্তে আখের আলি গায়েনের নাম উঠে আসে। কাদের মোল্লার নামও উঠে এসেছে। কাদের এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করার জন্য তার গোটা এলাকায় জোর খোঁজে তল্লাশি চলছে।
পুলিস জানিয়েছে, শুক্রবার রাতে খবর আসে আখের আলি গায়েন স্থানীয় একটি ভেড়িতে পাহারা দেওয়ার ছোট্ট ঘরে ঘুমোচ্ছে। এলাকার লোকজন, যাকে আলাঘর বলেন। সেখানে জাবেদ, মাজেদ ও মইজুদ্দিন তিন সঙ্গীও ছিল। কিন্তু, ওই আলাঘরের চারপাশে জল। আলপথ এতটাই সরু যে অভ্যস্ত গ্রামবাসী ছাড়া অন্যদের চলাচল করা মুশকিল। পুলিস চারটি দলে নিজেদের ভাগ করে নেয়। আখের জলে সাঁতার কেটে পালাতে পারে বলে পুলিসের আশঙ্কা ছিল। তাই সবাইকে বলে দেওয়া হয়েছিল, প্রয়োজনে জলে ঝাঁপ দিয়ে ধরতে হবে। রাত দেড়টা নাগাদ পুলিসের চারটি দল চারদিক থেকে ওই আলাঘর ঘিরে ফেলে। তখন ঘুমিয়ে পড়েছিল আখের। তবে, দূর থেকে টর্চের আলো দেখতে পেয়েই সে পালাবার চেষ্টা করে। কিন্তু, জলের ধারে পুলিস দাঁড়িয়েছিল। হাতেনাতে তাকে পাকড়াও করা হয়।
ধৃতদের ন্যাজাট থানায় রাখলে এলাকার আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে এই আশঙ্কায় পুলিস রাতেই ধৃতদের বসিরহাটে নিয়ে গিয়ে রাখে। শনিবার ধৃতদের বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছিল। পুলিসের তরফে ধৃতদের ১৪ দিনের হেফাজতের আবেদন জানানো হয়। আদালত পাঁচদিনের পুলিস হেফাজত মঞ্জুর করে। এক পুলিস অফিসার বলেন, আখের আলি গায়েন ঘটনার সময় নিজে দাঁড়িয়ে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিল। সে স্বীকার করেছে। জাবেদ, মাজেদ ও মইজুদ্দিন এই তিনজন সঙ্গীর নাম এফআইআরে নেই। কিন্তু, তারাও ওই খুনের ঘটনায় যুক্ত। তদন্তে তাদের নাম উঠে আসায় ওই তিনজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।