সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
উল্লেখ্য, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশত জন্মবর্ষকে সামনে রেখে রাজ্যের স্কুলশিক্ষা দপ্তর এই প্রথম বিনামূল্যে বর্ণপরিচয় প্রথম ও দ্বিতীয়ভাগ স্কুলে স্কুলে বিতরণ করার উদ্যোগ নিয়েছে। বর্ণপরিচয় বিলি নিয়ে এখন স্কুলগুলি বিস্তর সমস্যায় মধ্যে পড়ে গিয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মোট ৩২৬৫টি প্রাইমারি স্কুল রয়েছে। অধিকাংশ স্কুলে সরকারের আগেকার নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রথম শ্রেণীর পড়ুয়াদের বর্ণপরিচয় দ্বিতীয় ভাগ এবং প্রি-প্রাইমারি পড়ুয়াদের বর্ণপরিচয় প্রথম ভাগ তুলে দেওয়া হয়েছে। সংশোধিত নির্দেশিকা অনুযায়ী, এখন সেইসব পড়ুয়াদের কাছ থেকে বই ফেরত নিতে হবে।
পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক অরূপকুমার ভৌমিক বলেন, সরকারের আগের নির্দেশিকা অনুযায়ী জেলার বেশিরভাগ স্কুলে বর্ণপরিচয় প্রথম ও দ্বিতীয়ভাগ বিলির কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। এখন সংশোধিত নির্দেশিকা অনুযায়ী বর্ণপরিচয় প্রথম ও দ্বিতীয়ভাগ ফেরত নিতে হবে। এটা বেশ স্পর্শকাতর বিষয়। কচিকাঁচাদের কাছ থেকে কীভাবে বই ফেরত নেব সেটাই এখন আমাদের কাছে চিন্তার বিষয়।
এর আগে বর্ণপরিচয় প্রথমভাগ এবং দ্বিতীয়ভাগ বাজার থেকে কিনতে হতো। প্রথমভাগের দাম ছিল ১০টাকা। আর দ্বিতীয়ভাগের দাম ছিল পাঁচ টাকা। এই প্রথম শিক্ষাদপ্তরের উদ্যোগে স্কুলে স্কুলে বর্ণপরিচয় প্রথমভাগ ও দ্বিতীয়ভাগ বিলি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু, বিলির প্রক্রিয়ায় গোড়াতেই জট পেকেছে। এর ফলে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন স্কুলশিক্ষকরা। কারণ, প্রাক-প্রাথমিক পড়ুয়াদের কাছ থেকে বর্ণপরিচয় প্রথমভাগ ফিরিয়ে সেটা প্রথম শ্রেণীর পড়ুয়াদের দিতে হবে। আর প্রথম শ্রেণীর পড়ুয়াদের কাছ থেকে দ্বিতীয়ভাগ ফেরত নিয়ে সেগুলি তুলে দিতে হবে দ্বিতীয় শ্রেণীর পড়ুয়াদের হাতে। এর ফলে প্রাক-প্রাথমিক পড়ুয়াদের হাতে কোনও বই থাকবে না।
জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) চাপেশ্বর সর্দার বলেন, বর্ণপরিচয় প্রথমভাগ প্রথম শ্রেণীর পড়ুয়াদের এবং দ্বিতীয়ভাগ দ্বিতীয় শ্রেণীর পড়ুয়াদের দিতে হবে। আগেকার নির্দেশিকা সংশোধন করা হয়েছে। বেশিরভাগ স্কুলে অবশ্য বই বিতরণ এখনও হয়নি। দ্বিতীয় নির্দেশিকা মেনে বর্ণপরিচয় বিলির কাজ ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছে।
আগে বর্ণপরিচয় প্রথমভাগ ছিল ২৪পাতার। নতুন বর্ণপরিচয় প্রথমভাগ হয়েছে ৫১পাতার। পাশাপাশি আকারেও আগের তুলনায় বড়। বর্ণপরিচয় দ্বিতীয়ভাগ আগে ছিল ২৪পাতার। নতুন বইটি হয়েছে ৪৭পাতার। শুধু তাই নয়, পুরনো বর্ণপরিচয় দ্বিতীয়ভাগে কোনও ছবি ছিল না। যদিও নতুন দ্বিতীয়ভাগে বিদ্যাসাগরের ছবির পাশাপাশি কাশী, কলকাতা জাতীয় পাঠাগার, হাওড়া ব্রিজ, তাজমহল এবং সবশেষে বিদ্যাসাগরের বাড়ির ছবি রয়েছে।