সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, খানা জংশন ও পাণ্ডুয়া স্টেশনের সঙ্গে থার্ড লাইন সংযুক্ত করার কাজ চলায় ১৬ আগস্ট থেকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বহু ট্রেন বাতিল ও রুট পরিবর্তন করা হয়েছে। যার জেরে সমস্যায় পড়েছেন বহু যাত্রী। তারাপীঠে যাওয়ার জন্য রামপুরহাট স্টেশনে বেশিরভাগ যাত্রী আসেন কবিগুরু ও ইন্টারসিটি এক্সপ্রেসে। ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দু’টি ট্রেনই বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকটি মেল এক্সপ্রেস ট্রেনকে কাটোয়া-আজিমগঞ্জ হয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে কয়েকটি ট্রেন রয়েছে সেগুলিও দেরিতে চলাচল করায় চূড়ান্তভাবে নাজেহাল হচ্ছেন যাত্রীরা। রেলের এক আধিকারিক বলেন, খানা জংশনের কাছে লাইনের কাজ চলায় এখন বেশিরভাগ ট্রেনই দেরিতে চলাচল করেছে। ফলে সেই ট্রেনগুলিতে উঠতে যাত্রীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যাচ্ছে। একইভাবে বিলম্বে চলছে হাওড়া-রামপুরহাট শহিদ এক্সপ্রেস। স্বভাবতই প্রতিদিন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। সোমবার কলকাতার গড়িয়াহাট থেকে তারাপীঠে পুজো দিতে এসেছিলেন অনিমেষ পাল। এদিন বাড়ি ফেরার জন্য সকাল ৯টার মধ্যেই তিনি পরিবার নিয়ে রামপুরহাট স্টেশনে আসেন। তিনি বলেন, এসে জানতে পারি কবিগুরু এক্সপ্রেস বাতিল। সাড়ে চারটের আগে হাওড়া যাওয়ার কোনও ট্রেন নেই। কিন্তু স্টেশনে যা ভিড় ট্রেনে উঠতে পারব কিনা সন্দেহ। এভাবে হয়রানির শিকার হব জানলে এখন আসতাম না। অন্যদিকে, হাওড়ার বাসিন্দা অজয় মণ্ডল বলেন, দীর্ঘক্ষণ ধরে হাওড়াগামী ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছি। প্ল্যাটফর্মে জলের কোনও ব্যবস্থা নেই, ক্যান্টিনও বন্ধ। বাইরে ভালো খাওয়ার হোটেলও নেই। রেল কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের কথা গুরুত্ব দিয়ে ভাবুক।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, কৌশিকী অমাবস্যার সময় অধিকাংশ পুণ্যার্থী আসেন রেলপথে। আগামী ২৯ ও ৩০ আগস্ট কৌশিকী তিথিতে এই সিদ্ধপীঠে লক্ষ লক্ষ ভক্তের সমাগম হবে। গত দু’বছরে সাড়ে তিন থেকে চার লক্ষ পুণ্যার্থী এসেছিলেন রেলপথে। রেলের মোটা অঙ্কের আয় হয়েছিল। যাত্রীদের সুবিধার্থে তিন বছর ধরে এই তিথিতে একটি বিশেষ ট্রেনও চালিয়ে আসছে রেল কর্তৃপক্ষ।
তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, কৌশিকী অমাবস্যা তিথিতে বহু পুণ্যার্থী এখানে আসেন। সব জেনেও গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনগুলি এই সময় কেন বাতিল করা হল? এটা রেলের উদাসীনতার পরিচয়। বহু লোক এই তিথিতে আসার জন্য অগ্রিম টিকিট বুক করে রেখেছিলেন। তাঁরা যেমন সমস্যায় পড়বেন, তেমনই তারাপীঠে আসার ক্ষেত্রে হয়রানির মুখে পড়তে হবে বহু পর্যটককে। ওই সময় এমনিতেই একটি স্পেশাল ট্রেন চলে। এবার সেই ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি করছি।
যদিও রামপুরহাট স্টেশন ম্যানেজার পুস্কর কুমার বলেন, ট্রেন বাতিল বা রুট পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের। এব্যাপারে আমাদের কিছু করার নেই। তবে তিনবছর ধরে কৌশিকী অমাবস্যা তিথিতে একটি স্পেশাল ট্রেন চলে। এবার সেই ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে কিনা এখনই বলতে পারব না। তবে এব্যাপারে পূর্বরেলের জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তী বলেন, কৌশিকী অমাবস্যার সময় যাত্রীরা যাতে সমস্যায় না পড়েন সেজন্য নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।