সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
এবিষয়ে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক জয়ন্ত সিনহা বলেন, এটা বিরল একটি ঘটনা। ওই যুবকের এটা মানসিক কোনও সমস্যা থাকতে পারে। পরীক্ষা করে দেখতে হবে। তবে চিকিৎসা করালে ওই যুবক সুস্থ হতে পারেন।
কাটোয়া-১ ব্লকের শ্রীখণ্ড গ্রামের মল্লিকপাড়ার বাসিন্দা ইয়াসিন শেখের বড় ছেলে ২৬ বছর বয়সি দানা ছোট থেকেই সারাদিন বাড়ির সামনের পুকুরের জলে অধিকাংশ সময়েই গা ডুবিয়ে বসে থাকেন। জল থেকে উঠলেই নাকি তাঁর গায়ে শুরু হয় অসহ্য জ্বালা। যা তিনি সহ্য করতে পারেন না। জলে নামলেই নাকি দানার শরীরের সমস্ত সমস্যা ঠিক হয়ে যায়। শরীরে স্বস্তি অনুভব করে। ইচ্ছা হলে খাওয়া-দাওয়া করে আর অনেক সময় না খেয়েই ঘণ্টার পর ঘণ্টা পুকুরের জলে গা ডুবিয়ে বসে থাকেন। রাতের অন্ধকারেও দানা পুকুরে নামেন।
প্রথমে দানাকে পুকুরে থাকতে দেখে পাড়ার অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। অন্ধকারের মধ্যে অনেকে পুকুরে ভূত আছে বলে দৌড় দিয়েছিলেন। কিন্তু, ধীরে ধীরে যুবক দানা শেখের এই আজব অভ্যাস লোকের মুখে চাউর হয়ে গিয়েছে। তাই এখন আর কেউ বিষয়টি নিয়ে অবাক হন না। দানাকে দেখে কেউ ভয়ও পায় না। দানা শেখ বলেন, আমার জলে থাকতেই বেশি ভালো লাগে। জল ছাড়া থাকলেই গায়ে জ্বালা শুরু হয়। তাছাড়া অসহ্য গরম লাগে। তখন অস্বস্তি থেকে বাঁচতেই জলে নেমে পড়ি।
পেশায় কৃষক দানার বাবা ইয়াসিন শেখ বলেন, ছেলের পাঁচ বছর বয়স থেকেই জল দেখলেই ছুটে তা গায়ে মেখে নিত। তখন বুঝতে পারতাম না। তারপর দানা বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুকুরে গা ডুবিয়ে বসে থাকতে শুরু করে। এরপর আমরা চিকিৎসকের কাছে যাই। কিন্তু চিকিৎসায় অনেক খরচ। আমাদের মতো গরিব কৃষক পরিবারের অত টাকা দিয়ে চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য নেই। তাই আর দানাকে চিকিৎসা করাতে পারিনি।
এদিকে দানার মা ফুলিয়া বিবি বলেন, আমার দুই ছেলে। দানা বড়। আর নাসির শেখ ছোট। খুব অভাবের সংসার। তাই ছোট থেকে দানার চিকিৎসা করাতে পারিনি। এখন দানা দিনে প্রায় ১১-১২ ঘণ্টা জলে গা ডুবিয়ে বসে থাকে। জল থেকে উঠে এলেই ওর গায়ে জ্বালা হয়। দানার এই আজব কীর্তি দেখে গোটা গ্রামের বাসিন্দারাও তাজ্জব।