উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
ডিভিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন মাইথন জলাধারে জল রয়েছে ৪৪৯ একর ফিট। জলের পরিমাণ কমে ৪৪০ একর ফিটে এলেই লাল সঙ্কেত জারি করে কর্তৃপক্ষ। কৃষিকাজ, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বা পানীয়র জন্য প্রতিদিনই এই জলাধার থেকে ৩০০ একর ফিট জল ছাড়তে হয়। বৃষ্টি না হলে আর কতদিন পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাবে তা নিয়ে অনেকেই চিন্তায় রয়েছেন। এমনিতেই শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন প্রান্তে ইতিমধ্যে পানীয় জলের সঙ্কট শুরু হয়েছে। জলের দাবিতে, রাস্তা অবরোধ, বিক্ষোভ সবই হয়েছে বলে পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে। পাঞ্চেতেও জলের পরিমাণ কমে গিয়েছে। সেখানে এখন জল রয়েছে ৩৯৮ একর ফিট। ওখানে ৩৯০ একর ফিটের নীচে জলস্তর নেমে গেলে লাল সঙ্কেত জারি হয়। তবে কর্তৃপক্ষের আশা, পরিস্থিতি ভয়ানক আকার নেওয়ার আগেই বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে।
ডিভিসির জনসংযোগ আধিকারিক বিজয় কুমার বলেন, মাইথন এবং পাঞ্চেত দুটি জলাধারেই জলের পরিমাণ কম রয়েছে। তবে আশা করা যায়, কিছুদিনের মধ্যে বৃষ্টি নামবে। তাহলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই থাকবে।
প্রসঙ্গত, এবার জল সঙ্কটের আশঙ্কা করে রাজ্য সরকার অনেক আগেই জেলা প্রশাসনকে সতর্ক করেছিল। নদ বা জলাধারের উপর ভরসা না করে বিভিন্ন জায়গায় সাবমার্সিবল বসানোর জন্য বলা হয়। কিন্তু তারপরেও জলের সমস্যা মেটানো যায়নি। কুলটি, রানিগঞ্জ ও জামুড়িয়া সহ বিভিন্ন জায়গায় জল সঙ্কট দেখা দিয়েছে। আসানসোল পুরসভার আধিকারিক সুকমল মণ্ডল বলেন, নদ থেকে জল পেতে এখনও তেমন সমস্যা হয়নি। তবে লোডশেডিংয়ের জন্য জল তুলতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। সেকারণে বেশ কিছু জায়গায় সময়ে জল সরবরাহ করতে অতিরিক্ত সময় লাগছে।
অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রশান্ত মণ্ডল বলেন, লোডশেডিংয়ের বিষয়টি নিয়ে আমরা ইতিমধ্যেই বিদ্যুৎ দপ্তরের সঙ্গে কথা বলেছি। আশা করি, সমস্যা মিটে যাবে।
ডিভিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিবছরই গ্রীষ্মের সময় জলাধারে জলের পরিমাণ কম থাকে। বেশিরভাগ বছরই ৪৪৯ একরফিটের উপরেই জলস্তর থাকে। কিন্তু এবার জলের পরিমাণ অনেক কমে গিয়েছে। ডিভিসির এক আধিকারিক বলেন, ঝাড়খণ্ডের বৃষ্টির উপরে মাইথন জলাধারে জলের পরিমাণ নির্ভর করে। ওই রাজ্যে বৃষ্টি হলে জলের অভাব হয় না। কিন্তু সেখানে বৃষ্টি নির্দিষ্ট পরিমাণের থেকে কম হলে সমস্যা দেখা দেয়। তবে এবার জল সঙ্কটের কথা আগে থেকে চিন্তা করেই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। নির্দিষ্ট পরিমাণের থেকে অতিরিক্ত জল কখনও ছাড়া হয়নি। সেকারণেই এখনও ভয়ানক অবস্থা দেখা যায়নি। তবে বৃষ্টি না হলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাবে।
প্রসঙ্গত, মাইথন জলাধারের উপর পুরো শিল্পাঞ্চল নির্ভরশীল। এখানে জল কমে গেলে তার প্রভাব দুর্গাপুরেও পড়বে। কারণ দুর্গাপুর ব্যারেজেও জল মাইথন থেকে যায়। জলাধার থেকে জল তুলে বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা হয়। এছাড়া এই জেলায় বেশ কয়েকটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রও রয়েছে। সেগুলিও মাইথনের জলের উপরেই নির্ভরশীল। তাই বৃষ্টি না হলে পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হতে পারে বলে অনেকেরই আশঙ্কা।