বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
এত বিশাল জনমানসের চাপ নিয়েও নির্বিঘ্নে শেষ হয় মেলা। এবারের মেলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে কেন্দ্র ও বিভিন্ন রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী, দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিত্ব থেকে রুপোলি জগতের রাজপুত্র রাজকন্যেরা ডুব দিয়ে কুম্ভকে স্মরণীয় করে রেখেছেন।
৪৯ দিনের এই বিশাল ধর্মীয় সমাবেশে এমন সব ঘটনা ঘটে গিয়েছে যেগুলি আবার স্থান পেয়েছে রেকর্ডের খাতায়। গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের খাতায় নাম তুলে নিয়েছে এই মেলা। উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী সুরেশ কুমার রানা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এই মেলায় ১৯২ টি দেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিতি, প্রতিনিয়ত পরিচ্ছন্নতা, জিপিএস যুক্ত ক্যামেরায় নজরদারি, হেলিকপ্টার থেকে পুষ্প প্রক্ষেপণ— আরও কত কী। এর মধ্যে থেকে রেকর্ডের খাতায় নাম তুলে নিয়েছে দশ হাজার কর্মীর সাফাই অভিযান, ৩.২ কিমি পথে কুম্ভের বিজ্ঞাপনে শোভিত ৫০৩ টি বাসের শোভাযাত্রা ও ৭৬০০ মানুষের হাতের ছাপে তৈরি হওয়া ছবি। ৮ ঘণ্টায় এত মানুষের হাতের ছাপে তৈরি ছবিটি বিশ্বের দ্রুততম করা ‘হাত ছাপাই ছবির’ মর্যাদা পেয়েছে।
এখানেই শেষ নয়। নানা ঘটনার কুম্ভে আরও কয়েকটি তথ্য না দিলেই নয়। ভারতীয় রেল ৮০০ স্পেশাল ট্রেন চালায় এই মেলায় যাত্রী পরিবহণের জন্য। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ তার ক্যাবিনেট বসিয়ে ছিলেন কুম্ভে। মেলার ব্যাপ্তি বোঝাতে একটা ছোট্ট তথ্যই যথেষ্ট। মেলায় মোট শৌচালয়ের সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ২২ হাজার ৫০০ টি। এরকম নানা রঙের রামধনুতে শেষ হল এবারের অর্ধ কুম্ভ।