উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
শিল্পে ঢের পিছিয়ে বাংলা, এমন অপবাদ এখনও ঘোচেনি। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিল্পের ডাক দিলেও, এখনও ভারী শিল্প থেকে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ তেমন একটা আসেনি। রাজ্য সরকারও তাই কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে জোর দিয়েছে ছোট ও মাঝারি শিল্পে। অল্প পুঁজিতে শিল্পের দরজা খোলার ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাতে সাড়াও মিলেছে ভালো। ছোট শিল্পের দিক থেকে দেশের মধ্যে উপরের তালিকায় আছে পশ্চিমবঙ্গ।
কিন্তু বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে রাজ্য যে পায়ে পায়ে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে, তা অনেকের অজানা। কারণ, দেশের অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ আনার চেষ্টাকে রাজ্য সরকার যতটা প্রচারের আলোয় রেখেছে, ততটা সামনে আসেনি এফডিআই। অথচ দেখা যাচ্ছে, দু’বছর আগে যেখানে একবারে নীচের দিকে ছিল বিনিয়োগের অঙ্ক, সেখানে দু’বছরের মধ্যে একেবারে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে দাঁড়িয়েছে রাজ্য। ২০১৬-’১৭ অর্থবর্ষ থেকে ধারাবাহিকভাবে সাফল্য পেয়ে আসছে রাজ্য, বলছে কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য। কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রক জানাচ্ছে, ২০০০ সাল থেকে গত মার্চ পর্যন্ত সময়ে পশ্চিমবঙ্গে মোট বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে ৩১ হাজার ১১৯ কোটি টাকার।
প্রতি বছর রাজ্য সরকার ঘটা করে শিল্প সম্মেলন করে। সেই বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে শিল্পজগতের দেশীয় তারকারা আলোকিত করলেও বিদেশি বিনিয়োগকারী ও অতিথিদের সংখ্যাও সেখানে কম থাকে না। রাজ্যের ওই শোকেস সম্মেলন বিনিয়োগের দুনিয়ায় যে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না, বলছে শিল্পমহল। তাদের ব্যাখ্যা, কোটি কোটি টাকা খরচ করে রাজ্য সরকার দেড় দিনের জন্য যে বাৎসরিক বিজনেস সামিট করে, সেখানে কতটা বিনিয়োগ এল বা বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি এল, সেটা বড় কথা নয়। দীর্ঘদিনের অচলায়তন সরিয়ে পশ্চিমবঙ্গ যে কিছু একটা করার তাগিদ দেখাতে পারছে, এটাই বড় কথা। শিল্প গড়ার মানসিকতা ও পরিকাঠামো তৈরি করেছে রাজ্য সরকার, এই ব্র্যান্ডিং যত দ্রুত প্রসারিত হবে, ততই মঙ্গল। যেভাবে বিদেশি বিনিয়োগের অঙ্কে তলায় তলায় কেল্লা ফতে করেছে পশ্চিমবঙ্গ, অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগও সেই পথে হাঁটতে বাধ্য, বলছেন তাঁরা। গত ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে ২ লক্ষ ৮৪ হাজার ২৮৮ কোটি টাকার। সেই অঙ্কের বাস্তবায়ন কতটা হবে, তার উত্তর মিলবে আগামীদিনে। কিন্তু বিদেশি বিনিয়োগের দরজা যে আরও প্রশস্ত হবে, তাতে সন্দেহ নেই, বলছে শিল্পমহল।