উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
পাশাপাশি দেশে কর্মসংস্থানের জোয়ার আনতে বিদেশি বিনিয়োগকেই পাখির চোখ করবে কেন্দ্র। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জনে প্রথম ১০০ দিনে আর্থিক সংস্কারই হবে সরকারের হাতিয়ার। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজীব কুমার বলেছেন, ‘আমি আপনাদের সংস্কারের ব্যাপারে নিশ্চিত করতে পারি।’ ৬৫ বছরের পুরনো পরিকল্পনা কমিশনের বিলুপ্তি ঘটিয়ে প্রথম এনডিএ সরকার নীতি আয়োগ নামে একটি সংস্থা তৈরি করে। নতুন নতুন চিন্তাভাবনা এবং নীতি নির্ধারণ করে থাকে এই নীতি আয়োগ। পদাধিকার বলে রাজীব কুমার অর্থনীতি নিয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এহেন প্রভাবশালী আমলা জানালেন মোদি সরকারের ভবিষ্যৎ সংস্কার কর্মসূচি। তাঁর কথায়, ‘প্রথম ১০০ দিনে সংস্কারের বিগ ব্যাং হবে। আমরা এরজন্য তৈরি। সে সুযোগ রয়েছে।’
সরকারের সংস্কার যজ্ঞে প্রথম হাত পড়তে পারে শ্রম আইনে। নানা মহল থেকে অভিযোগ করা হয়, জটিল শ্রম আইনের জন্য দেশে বিনিয়োগ করতে ইতস্তত করেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। আগামী জুলাই মাসে সংসদের অধিবেশনে সরলীকৃত শ্রম বিল লোকসভায় পেশ করা হবে। রাজীব কুমার জানিয়েছেন, ৪৪টি কেন্দ্রীয় শ্রম আইনকে কয়েকটি কোডের মধ্যে আনা হবে। কোডগুলি হল— মজুরি, শিল্প সম্পর্ক, সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ এবং পেশাগত নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও কাজের শর্ত। নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যানের মতে, এর ফলে কর্মী এবং আধিকারিকদের সঙ্গে কর্তৃপক্ষের বিরোধ দেখা দিলে দীর্ঘ আইনি লড়াই হবে না। দ্রুত বিরোধের নিষ্পত্তি ঘটবে।
সংস্কারের কাজে গতি আনতে ল্যান্ড ব্যাঙ্ক তৈরির কাজে হাত দেওয়া হবে। সরকারি সংস্থার হাতে থাকা অব্যবহৃত জমি নিয়ে প্রাথমিকভাবে ল্যান্ড ব্যাঙ্ক গড়ে তোলা হবে। সেই জমি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। ভারতে শিল্প স্থাপনের সবচেয়ে বড় বাধা জমি। অতীতে কৃষি জমি অধিগ্রহণ করে কারখানা স্থাপনের অভিজ্ঞতা সুখের হয়নি। স্থানীয়দের বাধা, প্রতিবাদ, আইনি ঝঞ্ঝাট এবং পরিবেশগত কারণে কারখানার ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে পড়ে। সরকারি ল্যান্ড ব্যাঙ্ক থেকে জমি দিলে এইসব বাধা অনেকটাই কমবে বলে রাজীব কুমার জানিয়েছেন।
প্রথম মোদি সরকারের শেষ বছরে অর্থনৈতিক অগ্রগতি মুখ থুবড়ে পড়ে। ২০১৮ সালের শেষ ত্রৈমাসিকে আর্থিক অগ্রগতি কমে দাঁড়ায় ৬.৬ শতাংশ। ২০১৮-২০১৯ অর্থবর্ষের শেষ ত্রৈমাসিকে ভোগব্যয় কমে যাওয়ায় এই হার আরও কমেছে বলেই বিশেষজ্ঞদের ধারণা। এরজন্য রাজীব কুমার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যঙ্কগুলিকেই দায়ী করেছেন। তাঁর মতে আয়-ব্যয়ের হিসেবে সাম্য আনতে গিয়ে ব্যাঙ্কগুলি ঋণ দেওয়া কমিয়েছে। ঋণ না পেয়ে নতুন করে শিল্প গড়ে ওঠেনি। ফলত কর্মসংস্থান সঙ্কুচিত হয়েছে। রাজীবের পরামর্শ, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে সংস্কার করা হোক। আর পরিকাঠামো এবং নির্মাণ শিল্পের জন্য অর্থ সংগ্রহে দ্রুত বিলগ্নিকরণ এবং আরও কর সংগ্রহ করতে হবে।