উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
এদিন রুদ্ধদ্বার বৈঠকে শুভেন্দুবাবু বলেন, সব দল থাকবে। আমরা কিছু জায়গায় ভুল ছিলাম। তাই মানুষ আমাদের হারিয়ে দিয়েছে। ভুল সংশোধন না করলে আমরা ২০২১ সালেও জিততে পারব না। তবে নানা অত্যাচারের চিত্র আমরা দেখেছি, ঘরছাড়াদের দুঃখ আমরা দেখেছি। এটা আমরা করতে দেব না। কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মীরা রাতে বাড়ির বাইরে থাকবে না, ঘরেই ঘুমবে। কর্মীদের উদ্দেশে শুভেন্দুবাবু বলেন, ধমকে চমকে আপনারা ভয় পাবেন না। ভয় পেলে আমাদের জানাবেন। দলের ভাঙন নিয়ে তিনি বলেন, দু’টি একটি পঞ্চায়েতকে নিয়ে যাচ্ছে। আবার পালিয়েও আসছে।
প্রসঙ্গত, বিজেপিতে চলে যাওয়া নারায়ণগড়ের মকরামপুর পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান সহ সমস্ত সদস্য এবং পঞ্চায়েত সমিতির তিন সদস্য এদিন শুভেন্দুবাবুর হাত ধরে ফের তৃণমূলে ফিরে আসেন। মকরামপুরে দলের এক সভায় শুভেন্দুবাবু তাঁদের হাতে পতাকা তুলে দেন। একই সঙ্গে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের প্রাক্তন জেলা সভাপতি রমাপ্রসাদ গিরিকেও দলে ফিরিয়ে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। দলে ফেরেন বিজেপিতে চলে যাওয়া খড়্গপুর-১ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য যদু সরেনও।
এদিন মেদিনীপুরের বৈঠকেই রমাপ্রসাদের প্রসঙ্গ তোলেন শুভেন্দুবাবু। তিনি বলেন, রমাপ্রসাদ গিরি কোলাঘাটে আমার সঙ্গে দেখা করেছেন। উনি বিজেপিতে গিয়েছিলেন। বললেন, ভুল করেছি। সেই সময় মঞ্চ থেকেই খড়্গপুরের এক নেতা বলেন, রমাকে আমরা নেব না। শুভেন্দুবাবু ওই নেতাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সিদ্ধান্ত আপনার উপর হবে না। আমাকে করতে দিন। আপনার বুথে আপনি লিড দিতে পেরেছেন? ওঁরা নেতা হিসেবে থাকবে না, কর্মী হিসেবে থাকবে। অনেকেই বলেছে, এ-ও ফিরতে চায়। আমি বলেছি, নিয়ে নিতে। একটা বার্তা তো যাবে, ওখানে গেলে (বিজেপি) একটা চাটাইয়ে বসতে দিচ্ছে না। আর আমরা তো আগে চেয়ারে বসে মাতব্বরি করতে দিয়েছি।
পাশাপাশি এক বিধায়ককে তিনি বলেন, তোমার ওখানে ওই পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান অন্য দলের পতাকা ধরেছে। দলত্যাগ বিরোধী আইন আছে। বিডিওকে চিঠি দিন। ওঁদের মেম্বারশিপ চলে যাবে। তখন বুঝতে পারবে। এটা করুন, এটার দরকার আছে। খড়্গপুর নিয়ে তিনি বলেন, সমস্যার সমাধান করা যেত, ত্রুটি দূর করতে হবে। আমি জেলা সভাপতিকে বলেছি, ৩৫টা ওয়ার্ডের জন্য ৩৫জন ডেডিকেটেড নেতা চাই, যাঁদের পর্যবেক্ষক করা হবে। চার পাঁচ মাসের মধ্যে খড়্গপুরে উপনির্বাচন হবে। আমি মনি করি, অভিধানে ‘না’ বলে কিছু নেই। আমরা যদি লালগড়কে, কেশপুরকে বদলে দিতে পারি, খড়্গপুরকে পারব না কেন? আমরা পদ চেয়েছি, বেশি করে মঞ্চে উঠেছি। কিন্তু মানুষের কাছে যাইনি। তাই খড়্গপুরে আমরা অনেক ভোটে পিছিয়ে গিয়েছি।
পাশাপাশি দলীয় সূত্রে খবর, এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরে দলের অবস্থা খারাপ হওয়ার পিছনে জেলার প্রাক্তন পুলিস সুপার ভারতী ঘোষকে দুষেছেন তিনি। বলেছেন, ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী, তিনিই তো মূল সমস্যাটা এই জেলায় করে দিয়ে গিয়েছেন। এই জেলায় শুভেন্দু অধিকারী ২০০৯ সাল থেকে ১৩ সাল পর্যন্ত আসতেন। আমাদের জেলার নেতাদের ওঁকে মা পর্যন্ত বলতে হতো। শুভেন্দু অধিকারীর এই জেলায় আসা আটকে দিয়েছিলেন তিনি। এলে আমি দেখতে পাব, বালি থেকে টাকা তোলা হচ্ছে! আটকে দেব। ক্লাবের অনুষ্ঠান, পঞ্চায়েতের অনুষ্ঠানে আমাকে ডাকলে নেতাদের ধমকানো হতো, ওঁকে ডাকা হবে কেন? এই বিশ্বাসঘাতক, বেইমান গদ্দাররা ভালো সময়ে মধু খেয়েছে, সময়মতো সরে গিয়েছে।
এদিনের সভায় মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, মানস ভুঁইয়া, জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ হাজরা, জেলা সভাপতি অজিত মাইতি প্রমুখ হাজির ছিলেন। এদিন সেচমন্ত্রী শুভেন্দুবাবু প্রাক বর্ষায় জেলার প্রস্তুতি নিয়েও সার্কিট হাউকে বৈঠক করেন।