সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
বুধবার জেলাশাসক সুরেন্দ্রনাথ মিনার হাত দিয়ে অচল ধুমচিপাড়া চা বাগানটি খোলা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের মেন্টর তৃণমূল কংগ্রেসের মোহন শর্মা, মাদারিহাটের বিডিও শরণ তামাং ও স্থানীয় বিভিন্ন চা শ্রমিক সংগঠনের নেতারাও। প্রশাসনের দাবি, বুধবার বাগান খোলার দিনই প্রায় ৮০ শতাংশ শ্রমিক কাজে যোগ দেন।
জেলা পরিষদের মেন্টর মোহনবাবু বলেন, বিরোধীরা অসহায় শ্রমিকদের নিয়েও রাজনীতি করছে। বাগান খোলার সঙ্গে ভোটের কোনও সম্পর্ক নেই। বাগরাকোট চা বাগানটি খুলতে শ্রমদপ্তর ও রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলাপআলোচনা অনেকটা এগিয়েছে। দ্রুত বাগরাকোট চা বাগানও খুলবে।
আরএসপি প্রভাবিত ডুয়ার্স চা বাগান ওয়ার্কাস ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি গোপাল প্রধান বলেন, এভাবে বাগান খুলে কোনও লাভ হবে না। এভাবে বাগান খুললে শ্রমিকরা কাজ করে শুধু মজুরির টাকাই পাবেন। শ্রমিকদের পিএফ সহ অন্যান্য বকেয়া টাকার কী হবে, সেটা পরিষ্কার হয়নি।
প্রসঙ্গত, ডানকানস গ্রুপের ধুমচিপাড়া বাগানটিতে তিনমাস ধরে অচলাবস্থা চলছিল। এর ফলে ওই বাগানের ১৮০০ শ্রমিক দুর্দশায় দিন কাটাচ্ছিল। কলকাতার বৈঠকে ডানকানস কর্তৃপক্ষ চুক্তির ভিত্তিতে তাদের এই বাগানটির পরিচালন ভার কালচিনির সিঞ্চুলা বাগান কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেয়। সিঞ্চুলা চা বাগানের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুরজিৎ বণিক বলেন, ধুমচিপাড়ার শ্রমিকদের বকেয়া বেতনের সব টাকা ধীরে ধীরে মিটিয়ে দেব। আমরা বাগান চালাতে শ্রমিকদের পাশাপাশি সব মহলের কাছেই সহযোগিতা চাইছি।