ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
তবে এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকদের দুশ্চিন্তা আরও বাড়াচ্ছে প্রবীণ নেতার বাড়ি ফিরতে চাওয়ার জন্য উপর্যুপরি অনুরোধ। ঘনিষ্ঠ চিকিৎসকদের মধ্যে যাঁরাই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছেন, তাঁদের কাছে বারবার জানতে চেয়েছেন, কবে তিনি বাড়ি ফিরবেন। তবে অন্তত আরও চার-পাঁচ দিন তাঁকে হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চিকিৎসকরা।
দক্ষিণ কলকাতার যে হাসপাতালে বুদ্ধদেববাবুকে ভর্তি করা হয়েছে, তাদের পক্ষ থেকে দু’টি মেডিক্যাল বুলেটিনে জানানো হয়েছে, অ্যাকিউট একসাসারবেশন অব সিওপিডি, অ্যানিমিয়া এবং নিউমোনিয়া হয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। অবস্থা আগের তুলনায় স্থিতিশীল। হার্টের ছন্দপতনেরও সমস্যা রয়েছে তাঁর। শ্বাসকষ্টের সমস্যার জন্য নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে তাঁকে। প্রসঙ্গত, ডাঃ আলোকগোপাল ঘোষাল, ডাঃ সুনীলবরণ রায় সহ সাত চিকিৎসকের টিম ওঁর শারীরিক অবস্থা প্রতি মুহূর্তে পর্যবেক্ষণে রেখেছে।
শুক্রবার সকাল থেকেই শরীর খারাপ ছিল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। তীব্র শ্বাসকষ্টের সমস্যা হচ্ছিল। ছিল আচ্ছন্ন ভাবও। রক্তচাপ ছিল স্বাভাবিকের তুলনায় যথেষ্টই কম। সন্ধ্যায় সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র প্রবীণ নেতার দীর্ঘদিনের চিকিৎসক এক সিনিয়র কার্ডিওলজিস্টকে ফোন করে বিষয়টি জানান। চটজলদি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় অসুস্থ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। রক্তচাপ দেখা যায় ৮০/৬০। অক্সিজেন স্যাচুরেশন যথেষ্টই কম (৮০) এবং রক্তে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ যথেষ্ট বেশি। শুধু তাই নয়, রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রাও ছিল অস্বাভাবিক কম (৭)। পরে চেস্ট এক্স-রে পরীক্ষায় দু’টি ফুসফুসেই নিউমোনিয়া ধরা পড়ে।