সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
সৌজন্য সাক্ষাৎ হলে তা সাধারণত এতক্ষণ সময় হয় না। তাই পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতি, তৃণমূল-বিজেপির রাজনৈতিক রেষারেষির উত্তাপের মতো বিষয় নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৭০ বিলোপের পর বাংলায় থাকা কাশ্মীরীদের অবস্থান নিয়েও দুই সাংবিধানিক পদাধিকারীর আলোচনা হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৭০ বিলোপের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দিকে বিশেষ নজর রাখতে রাজ্যকে চিঠি দিয়েছিল কেন্দ্র।
যদিও সরকারিভাবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রাজ্যপালের বৈঠকের বিষয় নিয়ে কোনওপক্ষ থেকেই কিছু স্পষ্ট করা হয়নি। এদিন রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আকবর রোডের বাংলোয় গিয়েও অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করেছেন মাননীয় রাজ্যপাল। যদিও অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠকের ব্যাপারে রাজ্যপালের অফিস থেকে কিছুই জানানো হয়নি। কলকাতার রাজভবন থেকে রাজ্যপালের অফিস বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ‘৭লোককল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রীর বাংলোয় নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আজ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকারের এক ঘণ্টা বৈঠক হয়েছে।’ বলা হয়েছে, ‘গতকাল রাতে দিল্লি পৌঁছে মাননীয় রাজ্যপাল বিমানবন্দর থেকেই সোজা এইমসে গিয়েছিলেন অরুণ জেটলিকে দেখতে। সেখানে তিনি অরুণ জেটলির স্ত্রী, পুত্র, কন্যার সঙ্গে কথা বলেছেন। অরুণ জেটলির দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।’ তবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যপালের ঘণ্টাখানেকের ওই বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলেই রাজনৈতিক মহলের মত।
রাজনৈতিক পরিস্থিতি থেকে এনআরএস কাণ্ড, সম্প্রতি রাজ্যকে বার বার ‘অ্যাডভাইসারি’ পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। উত্তাল পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। শুধু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের‘অ্যাডভাইসারি’ই নয়। সংসদে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যের বিজেপির এমপিরা কোনও প্রশ্ন বা প্রসঙ্গ তুললেও তা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছ থেকে জবাব চাওয়া হয়েছে। মুখ্যসচিবকে এ ব্যাপারে দ্রুত উত্তর দিতে বলা হয়েছে। প্রায় পরপর দশদিনে দশটি এ ধরনের সংসদ সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাব চেয়ে নবান্নে চিঠি গিয়েছে। যা নিয়ে তৃণমূল ব্যাপক ক্ষুব্ধ। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো তৃণমূল এমপিরা এ ব্যাপারে সংসদে সরবও হয়েছেন। তারই মধ্যে নতুন রাজ্যপাল নিযুক্ত হয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জগদীপ ধনকার। দায়িত্ব নেওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালের সঙ্গে দেখাও করেছেন। ফলে সব মিলিয়ে বাংলার রাজনৈতিক, প্রশাসনিক পরিস্থিতি নিয়েই মোদি-অমিত শাহর সঙ্গে রাজ্যপালের কথা হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।