সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
কলকাতা ও শহরতলির কয়েকটি বারোয়ারি পুজো কমিটিকে আয়কর দপ্তর টিডিএস কাটার বিষয়ে চিঠি দিয়েছিল। তার বিরুদ্ধে সর্বাগ্রে প্রতিবাদ করেন মুখ্যমন্ত্রী। দুর্গাপুজার মতো সামাজিক উৎসবে কর বসানোকে তিনি মোগল আমলের জিজিয়া করের সঙ্গে তুলনা করে আয়কর দপ্তর তথা মোদি সরকারকে আক্রমণ করেন। তৃণমূলও কেন্দ্রীয় সংস্থার ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক দিয়ে একদিনের বিক্ষোভ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। রাজ্য রাজনীতিতে কট্টর মমতা বিরোধী বলে পরিচিত কংগ্রেসের সংসদীয় নেতা অধীর চৌধুরীও ইতিমধ্যে আয়কর দপ্তরের পদক্ষেপ বস্তুত বাঙালির উৎসবের আবেগকে উপেক্ষার শামিল বলে দাবি করেছেন। এদিন কংগ্রেস পরিষদীয় নেতা মান্নান আর এক ধাপ এগিয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে আয়কর দপ্তরের উদ্যোগের নিন্দা করেছেন। গত বছরে হাতে গোনা ৪০টি পুজো কমিটিকে চিঠি ধরিয়েছিল আয়কর দপ্তর। প্রাথমিকভাবে ৪০টি হলেও সমস্ত পুজো কমিটি, অর্থাৎ সামগ্রিকভাবে এই উৎসবের উপর কর বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে বলে তাঁর আশঙ্কা। মান্নান বলেন, কেন্দ্র কয়েকটি পুজো কমিটিকে নিয়ে পরীক্ষা করে দেখছে। আগামী দিনে সব পুজো কমিটিকে টিডিএসের নামে আয়কর দিতে বাধ্য করবে কি না, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন বিরোধী দলনেতা। কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে বাংলার সর্ববৃহৎ ধর্মীয়-সামাজিক উৎসবে আয়কর দপ্তরকে দিয়ে নোটিস ধরাচ্ছে, তা অতীতে কেউ করেনি।
তৃণমূলের সঙ্গে সুর মেলানোয় কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, ঝাঁকের কই ঝাঁকে মিশতে চাইছে। আয়কর দপ্তর কোনও পুজো কমিটির উপর কর বসানোর নোটিস দেয়নি। এমনকী তাদের আয়ের উৎস কী, তাও জানতে চায়নি। দপ্তর ইতিমধ্যেই তা প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে। তবুও স্রেফ বিভ্রান্তি ছড়িয়ে তৃণমূল বাজার গরম করতে চাইছে। তাতে সুর মেলাচ্ছে কংগ্রেস। সায়ন্তনের দাবি, নিজের দলের লোকেরা তৃণমূলে চলে যাওয়ায় বিরোধী দলনেতার আসন টলমল করছে মান্নান সাহেবের। তাই মুখ্যমন্ত্রীকে পরোক্ষ বার্তা দিয়ে তাঁবে রাখতে প্রধানমন্ত্রীক চিঠি দিয়ে বসেছেন তিনি। অথচ কল্যাণীতে পার্শ্বশিক্ষকদের উপর পুলিসি নির্যাতন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করার সাহস নেই কংগ্রেস নেতাদের।