সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
পুজোর দিনগুলির মধ্যে বিদ্যুতের সর্বাধিক চাহিদা থাকে পঞ্চমী ও ষষ্ঠীর দিন। কারণ ওই দুইদিন পুজো মণ্ডপে আলোকসজ্জার পাশাপাশি বহু অফিস, শিল্প সহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে হয়। সপ্তমী থেকে অফিস, কারখানা প্রভৃতি ছুটি হয়ে যাওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদা কমে যায়। তাই প্রতি পুজোর সময় পঞ্চমী ও ষষ্ঠীর দিনের বাড়তি বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো বিদ্যুৎ সংস্থাগুলির কাছে মূল চ্যালেঞ্জ হিসেবে থাকে। এবার পঞ্চমী ও ষষ্ঠী- দিন দুটিই সপ্তাহে কাজের দিনের মধ্যে পড়েছে। বিদ্যুৎমন্ত্রী জানিয়েছেন, ওই দুই দিন রাজ্যের বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ৯৫২০ মেগাওয়াটে পৌঁছবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর মধ্যে রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন কোম্পানি এলাকায় চাহিদা ৭৩২০ মেগাওয়াটা, সিইএসসি এলাকায় ২১০০ মেগাওয়াট এবং আইপিসিএল এলাকায় একশো মেগাওয়াটের মতো চাহিদা হতে পারে।
বিদ্যুতের উৎপাদন বজায় রাখার জন্য কয়লার সুষ্ঠু সরবরাহ খুবই প্রয়োজন। কোল ইন্ডিয়া সহ কয়লা উৎপাদনকারী সংস্থাগুলি এদিনের বৈঠকে পুজোর সময় কয়লার কোনও সমস্যা হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছে। ভারী বৃষ্টি হলে কয়লাখনিতে উৎপাদন কমে যায়। তখন সরবরাহ বিঘ্নিত হয়। তবে অক্টোবরে পুজোর সময় ভারী বৃষ্টির হওয়ার সম্ভাবনা তুলনামূলকভাবে কম। বিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়লা নিয়ে আসার জন্য পুজোর সময় যাতে রেকের কোনও ঘাটতি না হয়, সেটা দেখতে বলা হয়েছে রেলকে। প্রতিদিন কয়লার জন্য ১৬.৯টি রেকের ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে রেলকে। রেলের আধিকারিকরা এব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন বলে শোভনদেববাবু জানিয়েছেন। রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগম, সিইএসসি, ডিভিসি, এনটিপিসি প্রভৃতি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থার আধিকারিকরা বৈঠকে ছিলেন। পুজোর সময় যাতে কোনও কারিগরি ত্রুটির জন্য উৎপাদন ব্যাহত না হয়, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে সংস্থাগুলিকে।
শোভনদেববাবু জানিয়েছেন, পুজোর উদ্যোক্তারা সবরকম নিয়ম মেনে মণ্ডপে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার আবেদন করবেন বলে তাঁরা আশা করছেন। অনলাইনে আবেদন করা যাবে। পুজো মণ্ডপে বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার জন্য ‘সিঙ্গল উইন্ডো’ ব্যবস্থা থাকছে। এতে পুজো উদ্যোক্তাদের সুবিধা হবে।
বিদ্যুৎ চুরি আটকানো প্রসঙ্গে শোভনদেববাবু বলেন, দপ্তর এব্যাপারে তৎপর হয়েছে। বিদ্যুতের সংবহন ও বন্টন সংক্রান্ত ক্ষতি (এটিসি লস) ২৯ শতাংশ কমে ২২.৯ শতাংশ হয়েছে। এটা আরও কমানোর জন্য কাজ চলছে। ২০২৫ সালের মধ্যে রাজ্যের ৭৪টি শহরাঞ্চলে ভূগর্ভস্থ বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন চালু করা হবে। নদীয়ার কয়েকটি এলাকায় এই কাজ শুরু হয়েছে। তবে এখনই গ্রামীণ এলাকায় ভূগর্ভস্থ লাইন তৈরির কোনও পরিকল্পনা নেই। চুরি আটকাতে সরবরাহ লাইনে ‘এভি কেবল’ ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে লাইনের উপর রবার জাতীয় পদার্থের আস্তরণ থাকায় হুকিং করা যায় না। তবে বিদ্যুৎ চুরি আটকাতে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার উপর জোর দিলে ভালো ফল মিলবে বলে আশাবাদী মন্ত্রী। তাই কড়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে বিদ্যুৎ আইনে বিশেষ আদালত ও বিশেষ বাহিনী গঠনের সুযোগ থাকলেও সেদিকে যেতে চাইছে না সরকার।