সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
রায়ের এই দ্বিতীয় অংশের সূত্রেই স্নাতকোত্তরে ভর্তি হতে চাওয়া ডাক্তারদের মনে আশঙ্কার মেঘ দেখা দিয়েছে। কারণ, এদিনের রায় রাজ্যের স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় বা রাজ্য সরকার হাইকোর্টেই চ্যালেঞ্জ করতে পারে। যদি তা নাও হয়, তাহলেও ওই পাঠ্যক্রমে ভর্তির সুযোগ পেতে মামলাকারীদের সুপ্রিম কোর্টে যেতেই হবে। উল্লেখ্য, যাবতীয় বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে কর্মরত ডাক্তারদের জন্য স্নাতকোত্তরে ৪০ শতাংশ আসন সংরক্ষণের রাজ্যের নির্দেশ। যা মেডিকেল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার গাইডলাইন বিরোধী বলে দাবি করেছিলেন ওপেন ক্যাটিগরির ডাক্তাররা। সেই দাবিকেই এদিন স্বীকৃতি দিল হাইকোর্ট। কিন্তু, এই বিতর্কের ডামাডোলে যে ১৫৩টি ডাক্তারির স্নাতকোত্তর পাঠ্যক্রমের আসন ফাঁকা থেকে গেল, সেখানে এই দুই শ্রেণীর ডাক্তাররা আদৌ এবার ভর্তি হতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে যাঁরা ইতিমধ্যে ভর্তি হয়ে গিয়েছেন, তাঁদের পঠনপাঠনে এখনই ছেদ পড়ার সম্ভাবনাও কম বলে মনে করছেন এই মামলার সঙ্গে যুক্ত আইনজীবীরা। স্রেফ আরও কয়েক দফা মামলা হওয়ার পর্যাপ্ত সম্ভাবনা রয়েছে বলেই।
এমসিআই-এর অন্যতম আইনজীবী সুনীপকুমার রায় জানিয়েছেন, ‘এমসিআই পোস্ট গ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন রেগুলেশন, ২০০০’ ভঙ্গ করে রাজ্য সরকার নয়া সংরক্ষণ নীতি এনেছে বলে মামলা করেন ওপেন ক্যাটিগরির ডাক্তাররা। বিচারপতি চট্টোপাধ্যায় সেই সূত্রে ২২ মে এমসিআইকে নির্দেশ দেন, এই রাজ্যের জন্য যেন এমডি/এমএস পাঠ্যক্রমে ভর্তি প্রক্রিয়া ২৯ জুন বা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাড়ানো হয়। কিন্তু, কর্মরত ডাক্তাররা সেই নির্দেশ বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চে চ্যালেঞ্জ করেন। সেই সূত্রে বেঞ্চ ৩০ মে নির্দেশ দেয়, ২০০০ সালের এমসিআই রেগুলেশন অনুসরণ করে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে। তবে যাঁরা ভর্তি হবেন, তাঁদের ভবিষ্যৎ এই মামলার উপর নির্ভর করবে। সেই সূত্রে ৩১ মে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করা হয়। ওদিকে এই নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করা হয়। তার জেরে ১০ জুন পুরো বিষয়টি ফের বিচারপতি চট্টোপাধ্যায়ের কাছেই ফেরত আসে।
প্রসঙ্গত, ৫ মার্চ রাজ্যকে ওপেন ক্যাটিগরির ডাক্তাররা একটি স্মারকলিপি দেন। বক্তব্য ছিল, ২০০০ সালের ওই রেগুলেশন যেন রাজ্য পর্যায়ের কমন এলিজিবিলিটি টেস্টে অনুসরণ করা হয়। কিন্তু, এই স্মারকলিপিকে গুরুত্ব না দিয়ে ২৯ মার্চ জারি করা সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়, কর্মরত শিক্ষকদের জন্য মোট আসনের ৪০ শতাংশ এবং বাকি ৬০ শতাংশ আসনে ভর্তি হতে পারবেন অন্যরা।
উল্লেখ্য, ওপেন ক্যাটিগরিতে ১৪৯৯ প্রার্থী থাকলেও বিপরীতে মাত্র ৪১০ কর্মরত ডাক্তারের জন্য ৪০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত রাখতে চায় রাজ্য। যে কারণে আদালত এক অন্তর্বর্তী নির্দেশে এক সময় ১ মে পর্যন্ত ওই বিশ্ববিদ্যালয়কে কাউন্সেলিং স্থগিত রাখতে বলেছিল।