বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
ইস্পাত মন্ত্রকের আওতায় থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হিন্দুস্থান স্টিলওয়ার্কস ১৯৬৪ সালে পথ চলা শুরু করে, যার মূল অফিস হেস্টিংসে। এখান থেকেই দেশের ২৬টি শহরে সংস্থার শাখা অফিসগুলির পরিচালনা করা হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর নতুন ভবনের জন্য এই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে কসবায় জমিও দেন। দীর্ঘ কয়েক বছর লোকসানে চলার পর যখন হাল ফেরে সংস্থাটির, তখনই কেন্দ্রীয় সরকার উল্টো সুরে গাইতে শুরু করে। কর্মীদের বক্তব্য, ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যেখানে সংস্থাটি ১১৫ কোটি টাকা লাভের মুখ দেখেছিল, সেখানে বছর শেষে ক্ষতির হিসেব দেখিয়ে তাকে নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের আওতায় থাকা এনবিসিসি (আই) লিমিটেড নামে আরও এক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়। ৫১ শতাংশ শেয়ার চলে যায় তাদের হাতে। তারপরই সিদ্ধান্ত হয়, সংস্থাটিকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে দিল্লিতে। কাজ হারানোর আশঙ্কায় ভুগতে থাকেন কর্মীরা। শুরু হয় আন্দোলন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে লোকসভায় বিষয়টি তোলেন সংসদ সদস্য কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানতে চান, কোন যুক্তিতে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে হিন্দুস্থান স্টিলওয়ার্কস? এরপর বিষয়টি নিয়ে ধীরে চলো নীতি নেয় কেন্দ্র।
কিন্তু দিল্লি বেশিদিন ধৈর্য রাখতে পারেনি। তারা কয়েক মাস অপেক্ষা করে সদর দপ্তর কলকাতা থেকে সরানোর ব্যাপারে আদাজল খেয়ে লাগে। সংস্থার ফাইনান্স অফিসার হিসেবে দায়িত্ব ছিল যাঁর হাতে, সেই কনট্রাকচুয়াল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জয়দীপ লাহিড়ি বলেন, আমরা গোটা বিষয়টির প্রতিবাদ করায় আমাদের তিনজনকে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে বরখাস্ত করা হয়। পরে কলকাতায় লেবার কমিশনারের অফিসে বিষয়টি নিষ্পত্তি হল বলেই আমরা ধরে নিয়েছিলাম। কিন্তু বাস্তবে আমাদের চাকরিতে নেওয়া তো হয়নিই, বরং গোটা দেশ থেকে ৪৬ জনকে ছাঁটাই করা হয়েছে। কেন এই ছাঁটাই বেআইনি, তা জানিয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছি। বিষয়টি নিয়ে দিল্লিতে সংস্থার সদর দপ্তরে বৈঠক করেছেন আমাদের ইউনিয়নের সভাপতি তমোনাশ ঘোষ। আমাদের কাজে নেওয়া হবে, এমন আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে কিছুই হয়নি। গত ৪ জুলাই কেন্দ্রীয় শ্রম কমিশনারের অফিসে একটি বৈঠক হয় সংস্থার কর্তা এবং কর্মী ইউনিয়নের সঙ্গে। কিন্তু সেখানেও সমাধানসূত্র মেলেনি। ফের আগামী ৩০ জুলাই ফের বৈঠক ডেকেছেন শ্রম কমিশনার। সেখানে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তার দিকেও তাকিয়ে কর্মীরা।