সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
ধৃতদের কাছ থেকে পুলিস দেশি ছ’ঘরা একটি পিস্তল ও ৪ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করেছে। বুধবার ধৃতদের দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। এদিন মহকুমা আদালতের বিচারক ধৃতদের ৫ দিনের পুলিসি হেপাজতের নির্দেশ দেন। পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অমরাবতি এলাকা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সহ ওই দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে পুলিস। তারা এলাকাবাসীর কাছ থেকে কয়েকদিন আগে সন্ধান পায় ওই দুই যুবক নয়ন ও সোহম এলাকায় একটি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। পুলিস সেই মতো এদিন রাতে হঠাৎই ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। পুলিসের অনুমান, বছর ২৪ এর ওই দুই যুবক পকেট খরচা তুলতেই নিজেদের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র রেখেছিল। দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের কিছু দুষ্কৃতীদের সাথে তাদের যোগাযোগ আছে যারা বাড়িতে চুরি ও এলাকায় ছিনতাইয়ের সাথে যুক্ত। তবে শহরে দুর্গাপুজোর আগে চুরি ও ছিনতাইবাজদের দৌরাত্ম্য বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রবল বলে মনে করছে শহরবাসী।
তবে এদিন ওই যুবকদের কাছ থেকে যে দেশি ছ’ঘরা পিস্তলটি উদ্ধার হয়েছে সেটি পুলিসের অনুমান অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে বানানো এক নলা পাইপগানের মধ্যে ছ’ঘরা পিস্তল। যার দৈর্ঘ্য ২২ ইঞ্চি। পুলিস জানিয়েছে, মূলত এই ধরণের আগ্নেয়াস্ত্র মাওবাদীরা ব্যবহার করে থাকে। কীভাবে এই উন্নত মানের আগ্নেয়াস্ত্র দুর্গাপুরের যুবকদের হাতে এসে পৌছচ্ছে তাঁর মূল পাণ্ডার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিস।
ধৃত ছাত্র সোহম চট্টোপাধ্যায়ের বাবা নীহারেন্দু চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমাদের বাড়ি বর্ধমানে। আমার একটি মাত্র ছেলে সোহম। সে সৎ ও দয়ালু স্বভাবের। ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ছাত্র। ছোট থেকে পড়াশোনায় সে খুব ভালো। তাই নবম শ্রেণীতে পড়াশোনার সূত্রে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি ভালো ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ভর্তি করি ২০১৩ সালে। ছেলের পড়াশোনার জন্য আমরা সপরিবারে দুর্গাপুর এমএএমসি এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করি। ছেলে মাধ্যমিকে ৯৪.৪ শতাংশ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। সে উচ্চ মাধ্যমিকেও ৮২ শতাংশ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। বর্তমানে ফুলঝোড় এলাকার একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের চতুর্থ বর্ষের ইলেক্ট্রিক্যাল বিভাগের ছাত্র। মা দুর্গাপুরে একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শিক্ষিকা। আমার ব্যবসা বর্ধমানে রয়েছে। আমি প্রায়ই ব্যবসার জন্য বর্ধমান যাওয়া আসা করি। মঙ্গলবার দুর্গাপুরে ছেলের একটি স্থানীয় বন্ধুকে নিউ টাউনশিপ থানার পুলিস গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। সোহম রাতে খবর পায়। ওর মা ওই এলাকায় একটি মন্দিরে পুজো দিতে যাচ্ছিল সোহমের সাথে বাইকে করে। সোহম সেই সময় থানায় বন্ধুর সাথে দেখা করতে যায়। তখন পুলিস তাকে গ্রেপ্তার করে নেয়। আমার ছেলে পড়াশোনা নিয়ে থাকে। খুব ভালো ছেলে। এই ঘটনায় সে কোনও রকম ভাবে জড়িত নয়।
আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিস কমিশনারেটের ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তা বলেন, দু'জন যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র সহ। তাদের পুলিসি হেপাজতে নিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।