সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
প্রসঙ্গত, নিজমৈতনা স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি ১৯৬০সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার কয়েক বছর পর থেকে ইনডোর পরিষেবাও রমরমিয়ে চলত। কিন্তু, নানা কারণে সেই পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। তারপর থেকে আউটডোর পরিষেবা চলত। ২০০৬ সালে বামফ্রন্ট সরকারের আমলে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিকে ১০শয্যায় উন্নীত করার কথা ঘোষণা করা হয়। ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ঘটা করে ১০শয্যা উন্নীতকরণের উদ্বোধনও হয়। পঞ্চায়েত ভোটের পর কাজও শুরু হয়। কিন্তু, স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে বোঝাপড়া না হওয়া সহ নানা কারণে কাজে নিযুক্ত ঠিকাদার সংস্থা কাজ না করেই পাততাড়ি গোটায়। তারপর থেকে আর কাজ শুরুই হয়নি। এর ফলে ইনডোর পরিষেবার জন্য আসা বেড থেকে শুরু করে অন্যান্য জিনিসপত্র কোয়ার্টারের মধ্যে পড়ে নষ্ট হচ্ছে। বর্তমানে একজন চিকিৎসক, দু’জন নার্স, একজন গ্রুপ-ডি কর্মী ও একজন ফার্মাসিস্টই আউটডোর পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা পুলক বড়পণ্ডা বলেন, সংশ্লিষ্ট মৈতনা এলাকার মানুষজন ছাড়াও পার্শ্ববর্তী কাদুয়া, বাদলপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মানুষজন এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপর নির্ভরশীল থাকেন। কিন্তু, এখানে ইনডোর পরিষেবা নেই। তা থাকলে জরুরি চিকিৎসা কিংবা প্রসূতি মহিলাদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে খুবই সুবিধা হতো। জরুরি চিকিৎসার জন্য এলাকার বাসিন্দাদের সেই ২০কিলোমিটার দূরে কাঁথি মহকুমা হাসপাতাল কিংবা ১০কিলোমিটার দূরে বড়রাঙ্কুয়ায় ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ছুটতে হয়।