সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
এদিন দুপুরে বর্ধমানের নবাবহাট বাসস্ট্যান্ড চত্বরে ‘দি বর্ধমান সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক লিমিটেডে’র ৪০তম শাখার উদ্বোধন করা হয়। সেখানে মন্ত্রী ছাড়াও রাজ্যের সমবায় নিবন্ধক পি মোহন গান্ধী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সমবায় ইউনিয়নের ডিরেক্টর সত্যব্রত সামন্ত, পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতী, সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, দি বর্ধমান সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক লিমিটেডের মুখ্য নির্বাহী আধিকারিক অসীম চট্টোপাধ্যায়, স্পেশাল অফিসার মনসিজ মুখোপাধ্যায় সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। জেলা পরিষদের মেন্টর উজ্জ্বল প্রামাণিক সহ পাঁচজন কর্মাধ্যক্ষও হাজির ছিলেন। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর বহু সদস্য হাজির হয়েছিলেন। এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে বেশ কয়েকটি গোষ্ঠীর হাতে মন্ত্রী ব্যাঙ্কের পাসবই তুলে দেন।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, গতবার আমাদের অধীনে থাকা স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ১২০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। এবার তার চেয়ে আরও টাকা বাড়ানো হবে। গ্রামীণ মহিলারা যাতে নিজের বাড়ির উঠোনেই ছাগল, গোরু, মুরগি পালন করতে পারেন, তার জন্য আমরা ১৮০ কোটি টাকা দিচ্ছি। এক লক্ষ মহিলা সদস্যকে টাকা দেওয়া হবে। তার কাজও চলছে। আমরা এবার কৃষকদের আট হাজার কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছি। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন, গ্রামীণ এলাকার মহিলারা আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হয়ে মাথা উঁচু করে বাঁচুন। তাই তিনি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর উপর জোর দিয়েছেন। সেইমতো আমরা কাজ করছি। মন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ২০১৭ সালে সমবায় সমিতি নিয়ে একটি বৈঠক করেছিলেন। সেখানে তিনি গ্রামীণ এলাকায় ব্যাঙ্ক পরিষেবা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপর আমরা গোটা রাজ্যে ২৬৩১টি ‘কাস্টমার সার্ভিস পয়েন্ট‘ খুলে দিয়েছি। সেখানে ব্যাঙ্কের মতো সমস্ত পরিষেবা মিলছে। রাজ্যের প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতেই খোলা হয়েছে।
মন্ত্রীর ভাষণের পরই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর এক মহিলা সদস্য মঞ্চে উঠে মন্ত্রীকে বলেন, কিছু কিছু স্বনির্ভর গোষ্ঠী বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে। কিছু গোষ্ঠী পাচ্ছে না। এটা যেন দেখা হয়। তারপরই মন্ত্রী এবং রাজ্যের সমবায় নিবন্ধক পি মোহন গান্ধী বলেন, সমবায় দপ্তরের অধীনে রাজ্যে দু’লক্ষ ২০ হাজার গোষ্ঠী রয়েছে। কিন্তু, শুধু সমবায় দপ্তর নয়, অন্য অনেক দপ্তরের অধীনে স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। যেমন, আদিবাসীদের স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে, মৎস্যদপ্তরের স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে, বনদপ্তরের স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। এইরকম অনেক গোষ্ঠী রয়েছে। তাই এই প্রথমবার স্বনির্ভর গোষ্ঠী দপ্তর থেকে বিভিন্ন দপ্তরের অধীনে থাকা রাজ্যের সব স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে এক জায়গায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা করা হয়েছে। একটি সরকারি পোর্টালও তৈরি করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, বিভিন্ন জায়গায় সমবায়ে ‘দুর্নীতি’ প্রসঙ্গে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি ঠেকানোর জন্য সেল গঠন করা হয়েছে। কোথাও কোনও দুনীর্তির অভিযোগ পেলেই সঙ্গে সঙ্গে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।