সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
দীর্ঘদিন ধরে কালীগঞ্জের পলাশী, মীরা বড় চাঁদঘর, পানিঘাটা বিভিন্ন এলাকায় চলছে এই সমস্যা। অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। প্রতিবাদ করতে গেলে বচসা বাধে। বিশেষ করে পলাশী হাইস্কুল ও মীরা বালিকা বিদ্যানিকেতন স্কুলের সামনে রোমিওদের দাপাদাপি খুব বেশি। বহিরাগত ছেলেরা এসে স্কুলের সামনে ভিড় জমায়। বাইক নিয়ে চলে লাগামহীন গতিতে তারা ঘুরে বেড়ায়। অধিকাংশ যারা বাইক নিয়ে দাপাদাপি করে তাদের অনেকের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। এবিষয়ে স্থানীয় ও পলাশী হাইস্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক আবু নওসের আলি বলেন, সকাল থেকে এই এলাকায় কাউকে দেখা যায় না। স্কুল টাইমে কিছু সমাজবিরোধী ছেলে এখানে জড়ো হয়। বাইক নিয়ে ঘোরাঘুরি করার পাশাপাশি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। বাড়ির মহিলাদের বাইরে বের হওয়া সমস্যা হয়। এবিষয়ে পলাশী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সৌম্য মিত্র বলেন, আমরা এনিয়ে খুব চিন্তিত। নিরাপত্তা নিয়ে আমরা চিন্তিত। স্থানীয় মানুষ প্রতিবাদে সরব হয়েছেন। কিন্তু, অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি। আমরা বারবার পুলিসকেও জানিয়েছে। মাঝেমধ্যে পুলিস আসে। কিন্তু পুলিস চলে গেলে আবার সেই পুরনো ছবি দেখা যায়।
শুধু পলাশী নয়, মীরা বালিকা বিদ্যানিকেতনে স্কুল চলাকালীন একই ছবি দেখা যায়। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা পুষ্প বিশ্বাস বলেন, এটা নিত্যদিনের সমস্যা। অনেক অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেছে। এর জন্য প্রথমদিকে সিভিক ভলান্টিয়ার পাহারা দিচ্ছিল। কিন্তু কোনও কারণবশত তাদের তুলে নেওয়া হয়। এনিয়ে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের জানানো হয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, স্কুলের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে বারবার পুলিস অভিযান চালানো হচ্ছে। পুলিস যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সবাই পালিয়ে যায়। দিন দু’য়েক আগেই কয়েকটি মোটর বাইক তুলে আনা হয়েছে। এবিষয়ে পুলিস সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদেরও এগিয়ে আসতে হবে।