সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আলাউদ্দিন সাহেবের সঙ্গে তাঁর ভাই আরমান শেখের বসত ভিটে ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে বিবাদ চলছিল। মঙ্গলবার সকালে দুই ভাইয়ের মধ্যে বচসা হয়। তখনকার মতো বিষয়টি মিটে গেলেও রাতে আবার ঝামেলা হয়। বিবাদ চরমে উঠলে আরমান এবং তার জামাই এবং শ্যালকরা অতর্কিতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে আলাউদ্দিন সাহেবকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে বলে অভিযোগ। বাবাকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে ছেলে মিনারুল এবং দুই মেয়ে। তাঁদেরও কোপাতে শুরু করে অভিযুক্তরা। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন আলাউদ্দিন সাহেব। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে তাঁর মৃত্যু হয়। জখম তিনজনকে প্রথমে লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে ও পরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। বুধবার দুপুরে মিনারুলের মৃত্যু হয়।
মৃতদের প্রতিবেশী আরিফ শেখ বলেন, পৈতৃক ভিটে নিয়ে দুই ভাইয়ের বিবাদ চলছিল। ওইদিন রাত ৮টা নাগাদ হাঁসুয়া দিয়ে কোপানো হয়েছে বলে খবর পাই। গ্রামের লোকজনই চারজনকে লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। আরমানের মেয়ে টুম্পা বিবি স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের শাসকদলের সদস্য। লালগোলা ব্লক তৃণমূল সভাপতি শুভরঞ্জন রায় বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। খুনে মূল অভিযুক্তের মেয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েতের সদস্য হলেও দল দোষীদের পাশে থাকবে না।
লালগোলা থানার পুলিস জানিয়েছে, আরমান শেখ সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজ চলছে।