বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
গতকালই নিহতদের গ্রামে যেতে গেলে যোগী সরকারের পুলিস তাঁকে বাধা দেয়। তাঁকে যেতে দেওয়া হয়নি গ্রামে। প্রতিবাদে পথেই তিনি বসে পড়েন। শুরু করেন ধর্না। বিপাকে পড়ে পুলিস তাঁকে নিয়ে যায় একটি গেস্টহাউসে। সারারাত সেই গেস্টহাউসে রেখে দেওয়া হয় প্রিয়াঙ্কাকে। গোটা রাত সমর্থকদের সঙ্গেই অবস্থান করেন তিনি। গেস্টহাউসের বাইরে সারারাত স্লোগান আর বিক্ষোভ দেখিয়ে কাটান কংগ্রেস কর্মী ও নেতারা। ভোরে আজ প্রিয়াঙ্কা ফের ওই গ্রামে যেতে চাইলে, তাঁকে বলা হয় তিনি ওই গ্রামে কিছুতেই যেতে পারবেন না। প্রিয়াঙ্কা বলেন, আমি যাবই। জেলা পুলিসের সঙ্গে রীতিমতো তর্কাতর্কি করে প্রিয়াঙ্কা বলেন, নিহত আদিবাসী ও দলিত পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা না করে আমি ফিরবই না। পুলিস এরপর বাধ্য হয়ে সোনভদ্রা থেকে ওই নিহতদের পরিবারের সদস্যদের গেস্টহাউসে আসার অনুমতি দেয়। তাঁরা এসে আজ প্রিয়াঙ্কাকে বলেন, জমি নিয়ে কীভাবে তাঁদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। দেখা যায় নিহতদের স্ত্রীদের মধ্যে কয়েকজন প্রিয়াঙ্কার কাছে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাঁরা বলেন, জমির অধিকার রক্ষা করতে গেলে, জুটেছে গুলি। বিজেপি নেতৃত্বকে কটাক্ষ করে প্রিয়াঙ্কা আজ গেস্টহাউসেই সভা করে বলেছেন, এভাবে রাজ্যে দলিত আদিবাসীদের হত্যা করার দায় কার? নেহরুর? নাকি রাজ্য সরকারের? রাজ্য সরকারে কে আছে? বিজেপি। প্রিয়াঙ্কা বলেন, উত্তরপ্রদেশে এখন চলছে দুই মহারাজার রাজত্ব। কেন্দ্র ও রাজ্যের দুই মহারাজা। তাই দলিত আর আদিবাসীদের উপর চলছে অত্যাচার। প্রিয়াঙ্কা আজ বলেন, আমি আবার আসব। যেখানে অত্যাচার হবে, সেখানেই যাব।