বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
এদিকে মানিকের বিবৃতি প্রকাশের কিছুক্ষণের মধ্যেই পাল্টা বিবৃতি প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব জবাব দেন। তিনি বলেন, বেশকিছু স্কুলে ছাত্রছাত্রী না থাকার কারণেই সেগুলি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বহু স্কুলের পড়ুয়াদের সংখ্যা ১০ জনেরও কম। সেই ধরনের স্কুলগুলিকেই বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হবে। কারণ তারা ওই স্কুলগুলিকে ইংরাজি-মাধ্যম স্কুলে পরিণত করবে। মুখ্যমন্ত্রীর মতে, এভাবেই করদাতাদের অর্থের সঠিক মূল্য দেওয়া হবে। তিনি এও বলেন, আগের বাম সরকার উচ্চবিত্তদের স্বার্থ দেখেছে। সেসময় বেসরকারি স্কুলে সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশ থেকে ২৫ শতাংশ ছাত্রকে ভর্তি নেওয়ার জন্য শিক্ষার অধিকার আইন, ২০০৯ নিয়ে আসার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু বাম সরকার সেই আইন কার্যকর করেনি।
উল্লেখ্য, গত জুনে ত্রিপুরার শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ এক রিপোর্টকে সামনে রেখে জানিয়েছিলেন, গোটা রাজ্যে ৪ হাজার ৩৯৮টি সরকারি ও সরকার অনুমোদিত স্কুলের মধ্যে ১৪৭টি স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ১০ জনেরও কম। আর ১৩টি স্কুলে কোনও পড়ুয়াই নেই। এইসব স্কুলের বেশিরভাগই নির্দিষ্ট কোনও পরিকল্পনা ছাড়াই শুরু হয়েছিল। সে কারণেই স্কুলে পড়ুয়াদের সংখ্যাও ছিল কম। জানা গিয়েছে, এই স্কুলগুলির মধ্যে ২০টির ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব ধর্মীয় ট্রাস্ট ইসকনের উপর দেওয়া হয়েছে। আগামী পাঁচবছর তারাই ওই ২০টি স্কুলের ম্যানেজমেন্ট চালাবে। বাকি স্কুলগুলিকে আগামী দিনে বেসরকারি সংস্থার হাতেই তুলে দেওয়া হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন।