ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
কেন্দ্রের যে মূল্যায়ন হয়েছে, তাতে পঞ্চম এবং অষ্টম শ্রেণীর লার্নিং আউটকাম নিয়ে রাজ্যের ফল ভালো নয়। এক্ষেত্রে আরও উন্নতি প্রয়োজন রয়েছে। এই পরীক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে প্রতি জেলাকে ১০ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হতে পারে বলে প্রজেক্ট অ্যাপ্রুভাল বোর্ডের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। সেক্ষেত্রে শিলিগুড়ি ধরে রাজ্যে ২৪টি জেলার জন্য ২ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা হয়েছে। তবে এই পরীক্ষার আগে শিক্ষকদের নিয়ে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হবে। তার মাধ্যমে মূল কেন্দ্রীয় মূল্যায়নের আগে বাচ্চাদের ভুল-ত্রুটি ঝালিয়ে নিতে পারবেন শিক্ষকরা।
এদিকে, কী পদ্ধতিতে পরীক্ষা হবে, তার রূপরেখা তৈরি করবে কেন্দ্রীয় সরকার। তারপর তা রাজ্যগুলিকে দেওয়া হবে। এই পরীক্ষা শিক্ষকদের কাছে একটা চ্যালেঞ্জ বলেই মনে করছে শিক্ষামহল। তাই জেলাভিত্তিক পরীক্ষা নেওয়ার জন্য শিক্ষকদের বিশেষ প্রশিক্ষণও দেওয়ার কথা ঠিক হয়েছে। এই পরীক্ষা সংক্রান্ত রূপরেখা, ভিডিও, পুস্তিকা, ই-কন্টেন্ট ইত্যাদি তৈরি করবে কেন্দ্র। তারপর তা রাজ্যগুলির কাছে পাঠানো হবে। এই পরীক্ষার প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন মহলকে যুক্ত করা হবে। পড়ুয়ারা কেমন ফল করল, তা নিয়ে অভিভাবক এবং স্কুলের পরিচালন কমিটির সঙ্গেও আলোচনা করা হবে। তাদের কোনও পরামর্শ থাকলে, তাও নেওয়া হবে। এই পরীক্ষার বৈশিষ্ট্য হল, বিকেন্দ্রীকৃতভাবে তা নেওয়া হবে। তার জন্য যে পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র তৈরি করতে হবে, তা শিক্ষকদের শেখানো হবে। এনসিইআরটি’কে দেওয়া হবে এই দায়িত্ব। মূল্যায়ন কী করে করা হবে, তার জন্যও পৃথক নিয়ম থাকবে। স্কুল বেসড লার্নিংয়ে স্কুল এবং শিক্ষকদের জন্য একটি পোর্টাল থাকবে। পোর্টালটির উপর জেলা, রাজ্য এমনকী কেন্দ্রীয়স্তর থেকেও নজরদারি করা যাবে। সমগ্র শিক্ষার অধীনস্থ ক্লাস্টার রিসোর্স সেন্টার কোঅর্ডিনেটররা নিয়মিত শিক্ষকদের সঙ্গে সমন্বয় রেখে চলবেন। তাঁদের কী প্রয়োজন, তা দেখবেন এই কোঅর্ডিনেটররা। বিভিন্ন মানোন্নয়ন কর্মসূচিতে এই শিক্ষকদের অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে উৎসাহ দেওয়া হবে। কীভাবে প্রশ্ন করা হচ্ছে, বা পরীক্ষা কীভাবে নেওয়া হল, তার নমুনা যাচাই করার জন্য থাকবে একটি তৃতীয় সংস্থা। শিক্ষামহলের মতে, এই বাড়তি পরীক্ষা নেওয়ার চাপ যেমন স্কুলগুলির উপর থাকবে, তেমনই বাচ্চাদের মান কোথায় দাঁড়িয়ে, সেটিও বোঝা যাবে। ন্যাসের রাজ্যভিত্তিক মূল্যায়নে রাজ্যগুলি যাতে ভালো করে (অন্তত পিছিয়ে পরা রাজ্যগুলি), তার জন্য এই পরীক্ষা সাহায্য করবে। তবে কীভাবে এই পরীক্ষা নেওয়া হবে, তার পুরো প্রক্রিয়া এখনও স্কুলগুলির কাছে আসেনি বলে জানা গিয়েছে।