ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
নব বালিগঞ্জ কলেজে বাংলায় স্নাতকোত্তরে ৮০টি আসন রয়েছে। তার মধ্যে সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মাত্র ৯ জন ভর্তি হয়েছেন। অন্যদিকে, যোগমায়াদেবী কলেজে মোট আসনের অর্ধেক ভরেছে বলে জানা গিয়েছে। এই কলেজে বাংলায় ৫০-এর মধ্যে ২৫টি ভরেছে। ডায়মন্ডহারবারের ফকিরচাঁদ কলেজে পরিস্থিতি আরও খারাপ। সেখানে বাংলায় ১৩০টি আসনের মধ্যে মাত্র ৩০টিতে ছাত্রছাত্রীরা ভর্তি হয়েছেন। কমার্সে ৪০টির মধ্যে ৮টি আসন পূরণ হয়েছে। এদিকে, বিজ্ঞানের অনেক বিষয়েই আসন ফাঁকা নেই। কিন্তু গণিত সহ কয়েকটি বিষয়ের জন্য কাউন্সেলিং চলছে। তার মধ্যে গণিতের আসন খালির সংখ্যা একটু বেশি। রাষ্ট্রবিজ্ঞানেও ভর্তির হাল আশাব্যাঞ্জক নয়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই স্নাতকোত্তরে ভর্তির প্রক্রিয়া শেষ। ক্লাসও কমবেশি শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তারপরও কয়েকটি বিষয়ে যেভাবে আসন খালি থেকে যাচ্ছে, তা চিন্তা বাড়িয়েছে শিক্ষামহলের। বাংলার ক্ষেত্রে বলা যায়, স্নাতকস্তরেও ভালো সংখ্যক আসন খালি থেকে গিয়েছিল রাজ্যজুড়ে। এদিকে, মঙ্গলবারের পর আর কাউন্সেলিং হবে না কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেক্ষেত্রে তারপরও আসন পড়ে থাকলে, সেগুলি আর কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তি করা হবে না। তখন কলেজগুলিকে তাদের মতো করে ভর্তি করার নির্দেশ দেওয়া হবে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি অবশ্য ভালো। আর্টসের বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর মিলিয়ে এখন ১৫-২০টি আসন পড়ে রয়েছে। সেগুলি সবকটিই সংরক্ষিত। সেগুলি আর নতুন করে ভর্তি করা হচ্ছে না। সায়েন্সে দিবা ও সান্ধ্য বিভাগে কয়েকটি আসন রয়েছে। তার ভর্তির দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে দিবা বিভাগের ক্ষেত্রে আসনের সংখ্যা কম। সান্ধ্য বিভাগেও যে কটি আসন রয়েছে, তার একটা বড় অংশই সংরক্ষিত। তবে এবার এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের একটি আসনও খালি নেই। যা এক প্রকার রেকর্ড বলেই মনে করা হচ্ছে। স্নাতকোত্তরে ৪০টি আসন খালি হয়ে গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছিল। ওই পড়ুয়ারা প্রথমে ভর্তি হয়ে পরে ছেড়ে দেয়। কিন্তু সেই সব আসন ভরতে বেশি সময় লাগেনি কর্তৃপক্ষের। অর্থাৎ, দু’টি ক্ষেত্রেই সব আসনে পড়ুয়া ভর্তি শেষ।